কেএম নাহিদ : মান বিবেচনায় ভালো ও খারাপ সব রেস্তোরাকেই স্টিকারের মাধ্যমে চিহ্নিত করার কথা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের। সময় টিভি ১২:০০
কিন্তু তা না করে নির্দিষ্ট এলাকার গুটিকয়েক রেস্তোরাকে ভালো ক্যাটাগরির সার্টিফিকেট দিয়ে নিজেদের দায় শেষ করেছে সংস্থাটি। দীর্ঘ ১০ মাসেও চিহ্নিত হয়নি কোনো মানহীন রেস্টুরেন্ট। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভোক্তা ও হোটেল মালিকরা বলছেন, লোক দেখানোই ছিলো সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য। নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি কিংবা অপরিচ্ছন্ন স্থানে খাবার পরিবেশন। রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ হোটেল- রেস্তোরাঁর অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে এমনই।
এ ধরনের অনিয়ম রুখতেই এ বছর জানুয়ারিতে মাঠে নামে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। মান অনুযায়ী এ প্লাস, এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে স্টিকার দেয়ার কথা থাকলেও সংস্থাটি শুরুতে স্টিকার দেয় শুধুমাত্র এ প্লাস ও এ ক্যাটাগরিতে। তাও আবার শুধু রাজধানীর মতিঝিল অঞ্চলের নির্দিষ্ট ৫৭টি রেস্তোরাঁকে। অথচ দেশে হোটেল রেস্তোরাঁর সংখ্যা লাখের কাছাকাছি। ধারাবাহিকভাবে মান অনুযায়ী সবাইকে স্টিকার দেয়ার কথা থাকলেও এখনও তা না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান হোটেল মালিকরা।
এক হোটেল মালিক বলেন, শুধু আমাদের এখানেই না, আমাদের থেকেও মান যাদের খারাপ তাদেরও স্টিকার দিয়েছে। আরেক হোটেল মালিক বলেন, শুধু স্টিকার দিলে হবে না। এখানে আমার হোটেল বুঝতে হবে, এর ওজন বুঝে তা নির্ধারণ করতে হবে। ভোক্তারা বলছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মানহীন রেস্তোরাঁ আগে চিহ্নিত করা জরুরী।
এক ভোক্তা বলেন, যেগুলো খারাপ সেগুলো আগে চিহ্নিত করা উচিত, যেনো ওগুলো থেকে ভোক্তারা বিরত থাকে। আরেক ভোক্তা বলেন, ঢাকা শহরের বেশিভাগ হোটেলই খারাপ মানের খাবার খাওয়ানো হয়। মানহীন যে খাবারগুলো খাওয়ানো হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করা দরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি রেস্তোরাঁকে মানসম্পন্ন ঘোষণা করে ১০ মাস ধরে সব তৎপরতা বন্ধ রেখে সংস্থাটি পুরো প্রক্রিয়াকেই বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও বৈষম্যমূলক করে ফেলেছেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান