আমাদের বিশ্ব • আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৪
নিজস্ব বাহিনী চায় এনবিআর, ডিসেম্বরে আসছে ইউনিফর্ম
কেএম নাহিদ : চোরাচালান রোধ, রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন ও ক্ষতিকর পণ্য আমদানি রোধে প্রতিনিয়ত নানা প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযানে যেতে হয় রাজস্ব কর্মকর্তাদের। তাই শুধু ইউনিফর্ম নয়, রাজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বিঘেœ অভিযান পরিচালনার জন্য নিজস্ব রেভিনিউ ফোর্স চায় এনবিআর। সময় টিভি ১২:০০
যার আওতায় প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন শুল্ক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বর্তমানে নিজস্ব কোনো ফোর্স না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে সহায়তার জন্য দ্বারস্থ হতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর। রাজস্ব ফাঁকি রোধে তল্লাশি বা সমুদ্র বন্দরগুলোতে চোরাচালান নিরোধমূলক গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে এক সময় ছোটখাটো অস্ত্র বহন করতেন কাস্টম হাউসগুলোর প্রিভেন্টিভ অফিসাররা। দুই হাজার সাল পর্যন্ত এটা কার্যকর ছিল। এরপর প্রিভেন্টিভ অফিসারদের ক্ষমতা খর্ব হলে উঠে যায় এ প্রথা।
বাণিজ্যের পরিসর বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে অভিনব পন্থায় শুল্ক ফাঁকি, মাদকসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি ও অর্থ পাচারের ঘটনা। তাই শুল্ক ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের প্রায়ই যেতে হয় অভিযানে। কিন্তু নিজস্ব কোনো ফোর্স বা অস্ত্র না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হতে হয়, যা সময় ক্ষেপন করে। এ প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো সহিদুল ইসলাম বলেন, আরেকটি বাহিনী থেকে ফোর্স আনতে গেলে প্রায় দু ঘণ্টার মতো সময় অপচয় হয়। তাই সীমিত আকারে হলেও আমাদের আর্মসের প্রয়োজন।
বর্তমানে এনবিআরের বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা দেয়া ও কাস্টম হাউসগুলোর গুদাম পাহারার পাশাপাশি অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করে আনসার সদস্যরা। তবে কর্মপরিধি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় রাজস্ব কর্মকর্তাদের সীমিত পরিসরে অস্ত্র দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ।
তিনি বলেন, কাস্টমস অফিসারদের ছোটখাটো অস্ত্র দেয়ার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। এছাড়া, শুল্ক ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের জন্য ডিসেম্বরে জলপাই রঙের ইউনিফর্ম চালু করছে সংস্থাটি। সিপাহী, সাব ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে কমিশনার ও মহাপরিচালক পর্যন্ত সবাইকে পরতে হবে এই ইউনিফর্ম। সম্পাদনা: রেজাউল আহসান