সাইদ রিপন : নিরাপত্তা নিশ্চিতে রূপপুরে পারমাণবিক শক্তি কার্যক্রম শুরুর জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে আইনগত ও অবকাঠামোগতভাবে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এ লক্ষে পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরী ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্প আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থান করা হবে। একনেকে অনুমোদনের পর চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ সালে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, রাশিয়ান রেগুলেটরি সংস্থার আদলে বাংলাদেশে গঠন করা হবে রেগুলেটরি বডি। যার মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তদারকি করা হবে। প্রকল্পটির উপর ২১ আগস্ট প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিইসি সভায় জানানো হয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তদারকির জন্য পারমাণবিক প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রতিটি দেশে নিজস্ব এবং সুদক্ষ রেগুলেটরি বডি রয়েছে। এজন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) সদস্য হিসেবে নিউক্লিয়ার টেকনোলজিতে দক্ষ একটি রেগুলেটরি বডি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। মূলত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাইসেন্স দেয়ার জন্য পারমাণবিক নিরাপত্তা অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন করা হবে।
প্রকল্পেন প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিটগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ক কাঠামো, সিস্টেম এবং উপকরণসমূহের সমন্বয় মূল্যায়ন, পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং বিকিরণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিএইআরএ) অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় ও বৈদেশিক পরামর্শক সেবা গ্রহণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন,পূর্তকাজ, বৈদেশিক যন্ত্রপাতি, স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও ভ্রমণ, যানবাহন সংগ্রহ করা হবে।