সাইদ রিপন : দেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এবার উত্তরাঞ্চলের মতো দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। প্রকল্পটির অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে। যে এলাকায় জনবসতি কম সেই এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জায়গা নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলের আটটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে, যার একটিতে নির্মিত হবে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। সেগুলো হচ্ছেÑপটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পক্ষিখারচর, বরগুনার তালতলী উপজেলার খোট্টারচর ও নিদ্রারচর, আমতলী উপজেলার আলিখাঁরচর, পাথরঘাটা উপজেলার টেংরারচর, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার চরহালিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বয়ারচর এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মহুরিরচর। স্থান নির্বাচনে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
বাংলাদেশে ৪টি মেরিন একাডেমি স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা বিভাগে একটা করে মেরিন একাডেমি নির্মাণ করা হবে। এবং সরকারি সব মেরিন একাডেমিগুলো বিশ^মানের করতে হবে। এর পাশাপাশি বেসরকারি মেরিন অ্যাকাডেমিগুলোকে মানসম্পন্ন শিক্ষা বজায় রাখতে হবে। এছাড়া গাছ মানুষের বন্ধু ও পরিবেশের অন্যতম প্রধান উপকরণ। কিন্তু সব গাছ মানুষের জন্য উপকারী কিংবা পরিবেশবান্ধব নয়। মানুষের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করে রাক্ষুসী গাছ ইউক্যালিপটাস। গাছটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এই গাছটি প্রচুর পানি শোষণ করে । এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে এই গাছ প্রচুর দেখা যায়। ইউক্যালিপটাস দেশে কমাতে হবে। মানুষকেও নিরুৎসাহিত করতে হবে ইউক্যালিপটাস গাছের বিষয়ে। এটা পরিবেশের জন্য ক্ষতি। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান