উন্নয়নে আত্মঘাতী অর্থনীতি
মুনশি জাকির হোসেন
‘২০ হাজার ৬০০টি লাইট এমিটিং ডায়োড (এলইডি) বাতি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার এ প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয় সরকারের পরিকল্পনা বিভাগ। প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা দেবে ভারত। এছাড়া ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।’ সংবাদটি দেখতে ইতিবাচক মনে হতে পারে। তবে ভেতরে সমস্যা অনেক। প্রথমত, চার নগরে আলোকায়নের জন্য সরকারের বরাদ্দ হাজার কোটি টাকা। অথচ এ দেশে এখন এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন। গ্রামে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হয়নি, হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরে জানা গেলো বিদ্যুৎ বিতরণ, সঞ্চালনে সমস্যা। এর পরের সমস্যা আরও গুরুতর। এখানে বৈদেশিক ঋণের টাকায় এই সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ চলছে। এটি কিন্তু অলাভজনক প্রকল্প। এখান থেকে উৎপাদন, আয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অথচ এই বৈদেশিক ঋণের উপরে চক্র সুদ টানতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নে ঋণ নিলে বলা যেতো এই ঋণ দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে। এটি মূলত ভিক্ষা করে ঘি খাওয়ার মতো অপকর্ম আর কি।
আরেক গুরুতর সমস্যা হলো সব বৈদেশিক ঋণেই একটি বাই ব্যাক ক্লজ থাকে যেখানে শর্ত থাকে ওই ঋণের অর্থ দিয়ে ওই দেশ থেকেই পণ্য ক্রয় করতে হবে। এখানে জাপান, নেদারল্যান্ড হলে তেমন সমস্যা ছিলো না, কারণ তাদের পণ্যের গুণগত মান বিশ্বমানের। এখানে ভারতের ঋণে বাংলাদেশে যেসব পণ্য কেনা হচ্ছে সেগুলো গুণগত মান বিশ্বের সর্বনি¤েœর। এখানে ভারত এবং চীন একই গেম খেলছে। এই দুই দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। যেগুলো ১-২ বছরের মাথায় অকেজো হয়ে গেছে। ২. সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছিলেন, উন্নয়নের অর্থ যদি যথাযথভাবে ব্যয় হতো তাহলে বাংলাদেশ আরও উন্নতি করতো। সূত্র : ফেসবুক