কলেজ-বিশ^বিদ্যালয় হোস্টেলের ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী সকালের নাস্তা খায় না
মতিনুজ্জামান মিটু : যা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি ইউনিটের এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, জরিপে দেখা গেছে কলেজ বিশ^বিদ্যালয় হোস্টের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী সকালের নাস্তা না খেয়ে ক্লাসে আসে। এতে তাদের কর্মক্ষমতা ও মেধাশক্তি কমার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। যা দেশের ভবিষ্যতের জন্যেও হুমকি ডেকে আনতে পারে। শিক্ষার্থীরা যাতে নিয়মিত সকালের নাস্তা খায় সে ব্যাপারে তাদের সচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মক্ষমতা ও মেধাশক্তি বাড়াতে শুধু সকালে নাস্তা খেলেই হবেনা। এটি অবশ্যই পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়াও জরুরী।
এদিকে আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম উন্নত বিশে^র মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার বিশেষ করে চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই ও বার্গারসহ বিভিন্ন ফাস্ট ফুড খেয়ে থাকে। এতে দেশে স্থূলতার হার ক্রমে বেড়ে চলেছে। বর্তমানে এই হার শতকরা ৪ ভাগে দাঁড়িয়েছে। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত খাবারে অত্যাধিক মাত্রায় লবণ ব্যবহার করা হয়। এতে ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এমনকি পোল্ট্রিজাত খাবারে এন্টিবায়োটিকের অবশিষ্টাংশ থাকার সম্ভাবনা থাকে। এতে এন্টিবায়োটিক রেজিষ্টেন্স গড়ে ওঠে। সেজন্য এইসব জাতীয় খাবার খেলে দেহে এন্টিবায়োটিক শোষণ বাড়ে। এ কারণে বেশি পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। এতে দেহের এন্টিবায়োটিক শোষণ কম হবে।