নাঈমুল আবরার বিদ্যুতায়িত হলেও মৃত্যু অবহেলায়, প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ
লাইজুল ইসলাম : কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে নাঈমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজক, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকজনসহ সম্পৃক্ত সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর থানার ওসি জি জি বিশ্বাস জানান, মামলা দায়ের হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। অনুষ্ঠান আয়োজকদের ছাড়াও রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ওসি বলেন, বিদ্যুতায়িত হলেও আবরারের মৃত্যু হয়েছে অবহেলাজনিত কারণে। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে এটাই পাওয়া গেছে। যারা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে, যারা এখানে জেনারেটর সাপ্লাই দিয়েছে, যারা এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে সবাইকেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সামনে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তদন্তকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এক্সপার্টের মন্তব্য নিবো।
ওসি জিজি বিশ্বাস বলেন, আদালতে আবারের বাবা মামলা করেছেন। আদালত থেকে মামলার কপি ও নির্দেশনা এখনো পাইনি। পাওয়ার পর যথা নিয়মে ও নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো।
আদালতে আবরারের বাবা অভিযোগ করেন, তাকে ভূল বুঝিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করানো হয়েছিলো। এই মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়। এই অভিযোগের কথা শুনে ভারপ্রাপ্তা কর্মকর্তা বলেন, যদি ১ নভেম্বর রাতে নঈমুল আবরার নিহতের পর ভূল বোঝানোর কোনো ঘটনা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জি. জি. বিশ্বাস বলেন, আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া হচ্ছে না তা না। ইতমধ্যে বুধবার (৬ নভেম্বর) থেকে আইনের আওতায় আনার পক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। দোষি ব্যাক্তি ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো পাওয়ারে কাজ হবে না। সত্য যেটা সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবেই।
গত এক নভেম্বর কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের মৃত্যু হয়।