১১ বছরে দশগুণেরও বেশি বেড়েছে মসলা রপ্তানি
মতিনুজ্জামান মিটু : মসলা জাতীয় ফসলের রপ্তানি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিগত ১১ বছরে রপ্তানি হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি মসলা জাতীয় ফসল। এসব মসলা ফসলের মধ্যে রয়েছে হলুদ, কালিজিরা, রসুন, তেজপাতা, গুড়া মসলা, মরিচের গুড়া, হলুদের গুড়া, ধনিয়া, অন্যান্য, লবণ, জিরা, এলাচ, বিরিয়ানি মসলা, কারি পাউডার, গারলিক পাউডার, মিক্স মসলা, কালিজিরা গুড়া, কিউমিন পাউডার, হোলি ইস্পিসেস, শুকনা হলুদ, বোরহানি পাউডার, কাবাব মসলা, জিনজার পাউডার, রাইস ব্রান পাউডার, পানির পাত্র, রাইস ব্রান ওয়েল কেক, বিটেল ভিনি, ম্যাগিস্যুপ, চাউলের গুড়া, রাইস ব্রান ওয়াক্স, হালিম মিক্স, পটেটো ফ্লাওয়ার, বেসন, হিমায়িত খাদ্য, হিমায়িত রুটি বা হিমায়িত মিষ্টি, হিমায়িত সিঙ্গাড়া, সমুচা, পুরি ও রোলস।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজহার আলী জানান, গত ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৮-১৯ ইংরেজি পর্যন্ত ১১ বছরে প্রায় ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮৩ মেট্রিক টন মসলা জাতীয় ফসল রপ্তানি হয়েছে। আগের চেয়ে গত ২ বছরে সামান্য কমলেও বাকি সময়ে মসলা রপ্তানি ক্রমাগতভাবে বেড়েছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশ থেকে মসলা জাতীয় ফসল রপ্তানি হয়েছিলো আট হাজার ৭১০ দশমিক ২৪৬ মেট্রিক টন। যা ক্রমাগত বেড়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দাঁড়ায় এক লাখ ৮ হাজার ৪২৩ দশমিক ৬৮৩ মেট্রিক টন। তবে তা কিছুটা কমে গত ২০১৮-১৯ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মসলা রপ্তানি হয় এক লাখ ২ হাজার ৪৬০ দশমিক ৩৬৮ মেট্রিক টন ও এক লাখ ৪ হাজার ৬১৮ দশমিক ৬৩৩ মেট্রিক টন।
এছাড়া এদেশ থেকে মসলা রপ্তানি হয় ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১১ হাজার ৮৭৬.৩৮৬৯ মেট্রিক টন, ২০১০-১১ তে ১৬৭০৬.৫১৮৮৯ মেট্রিক টন, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৮৫০৩.৫১৭১ মেট্রিক টন, ২০১২-১৩ তে ১২৪৯০.৮৫৭ মোট্রিক টন, ২০১৩-১৪ বছরে ২৩২৯৭. ২৯৩০৭ মেট্রিক টন ৭০০ গ্রাম, ২০১৪-১৫ তে ৫৭৪৯১.৬৬৪৪৭ মেট্রিক টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯১১০৮.৩৪৭৪৪ মেট্রিক টন ও ২০১৬-১৭ বছরে ১০৮৪২৩.৬৮৩ টন।
পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজহার আলী বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আশা করা যায় ভবিষ্যতে মসলা জাতীয় ফসল রপ্তানির পরিমাণ আরো বাড়বে। এটি সম্ভব হলে আয় বাড়বে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, হবে অনেক লোকের কর্মসংস্থান। হবে উদ্ভিদজাত শিল্পের প্রসার। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান