সর্বশেষ, গত মঙ্গলবার হেগের আন্তর্জাতিক কোর্টে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওই পাশবিক নিষ্পেষণের বিষয়ে ন্যায়বিচার চেয়ে প্রথম কোনো মামলা আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করা হয়েছে। বিশ্ব জানে, একমাত্র ২০১৭ সালের আগস্টেই দেশটির রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস হত্যা ও নির্যাতনের কারণে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের তথ্য উন্মোচনকারী দল সেই পাশবিকতাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সম্পৃক্ত সামরিক জেনারেলদের বিচারের দাবি তোলে। তারপরও বিশ্বের যেন তাতে আগ্রহ নেই, অন্তত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে।
এক্ষেত্রে গত বছর কানাডাই প্রথম ওই সহিংসতাকে গণহত্যা হিসেবে ঘোষণা দেয় এবং দেশটির জাতীয় সংসদকে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) যাওয়ার দাবি তোলে। কিন্তু জাতিসংঘ আইন সঙ্গত কারণে কানাডাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-তে যাওয়ার তাগিদ দেয়। তথাপি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের হস্তক্ষেপে কোনো দৃষ্টান্তপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীর আশাটি হয় দুরাশা।
তাই গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের আইনজীবীদের সম্মিলিত প্রয়াসে আফ্রিকা মহাদেশের পক্ষে গাম্বিয়া বাদী হয়ে মায়ানমারের বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক মামলা দাখিল করেছে। এ বিষয়ে গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রী ও রুয়ান্ডা গণহত্যা আদালতের সাবেক কৌশলী আবুবকর তাম্বাদোর রোহিঙ্গা বিষয়ে ভাষ্য হচ্ছে, ‘গণহত্যা রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পুুরোপুরি ব্যর্থ।’
তবে কী এখন বাংলাদেশে আশ্রিত উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা আশার আলো দেখতে পাবে?