সেচের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ-জ্বালানি মূল্য কৃষকের নাগালের বাইরে যাচ্ছে
মতিনুজ্জামান মিটু : দেশের বাড়তি খাদ্য চাহিদা মেটাতে শস্য উৎপাদনে সেচ সুবিধা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। অথচ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুষ্প্রাপ্য হচ্ছে ভূ-উপরিস্থ পানি, ক্রমশ নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও। আবার সীমিত যে পানি সম্পদ আছে তা ব্যবহার করার জন্য মূল্যবান বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী তেলও কৃষকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ কারণে আগামী দিনের কৃষির অত্যন্ত দরকারী পানি সম্পদের পরিমিত ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরী।
সেচের কতিপয় প্রযুক্তির মধ্যে ড্রিপ ও বারিড পাইপ পদ্ধতি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখাসহ কম খরচে বেশি ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি (সূর্যের আলো) সেচ কাজে ব্যবহারের কলাকৌশল কৃষকদের অবহিত করা গেলে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী তেল সাশ্রয় হবে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে জানালেন, ‘সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাইলট প্রকল্প’ এর পরিচালক মুহাম্মদ রুবাইয়াৎ-উর-রহমান।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ কৃষক প্রচলিত ধ্যান-ধারণায় চাষাবাদ করায় উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাড়ছে মূল্যবান প্রকৃতিক সম্পদ ভূগর্ভস্থ পানির অপচয়। তাই সেচের পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তিগুলো কৃষকের দরজায় পৌঁছে দেয়া সময়ের দাবি। ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ কর্মী থাকায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পণা কলাকৌশলের আলোকে এসব সেবা কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার সক্ষমতা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আছে। এই যৌক্তিকতায় কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থে ৫ বছরের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ৬৫ কোটি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দেশের ৪১টি জেলার ১০০ উপজেলায় গত ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে শুরুর কথা ছিলো। তবে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কাজ ওই সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে।
এ প্রকল্পের ৬টি উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে; সেচ কাজে সৌর শক্তি ব্যবহার করে জ¦ালানী তেল বা বিদ্যুৎ ৯৫ থেকে ১০০ ভাগ সাশ্রয়, আধুনিক পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে সেচ দক্ষতা উন্নয়ন, ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বাড়ানো, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে উৎসাহিত করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও সেচ খরচ কমানো, আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা ও পানির ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকের জ্ঞান বাড়িয়ে তাদেরকে সচেতন করে তোলা এবং সমন্বিত সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন।
এ প্রকল্পে অন্তত ২৭ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবার প্রদর্শনী প্লট পাবে এবং এর সঙ্গে ৫০ হাজার প্রতিবেশী কৃষক পরিবার সরাসরি উপকারের আওতায় আসবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হবেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ কৃষক। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিঘা প্রতি ৩০০০ টাকার সেচ খরচ কমে দাঁড়াবে ২০০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকায়। পানি সাশ্রয় হবে ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ। বর্তমানে এক একর বোরো ধান উৎপাদনের জন্য ৫০ লাখ থেকে ৬০ লাখ লিটার পানি লাগে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিবপানি ব্যবহারে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ-জ¦ালানী তেল কৃষকের নাগালের বাইরে
মতিনুজ্জামান মিট : দেশের বাড়তি খাদ্য চাহিদা মেটাতে শস্য উৎপাদনে সেচ সুবিধা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। অথচ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুষ্প্রাপ্য হচ্ছে ভূ-উপরিস্থ পানি, ক্রমশ নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও। আবার সীমিত যে পানি সম্পদ আছে তা ব্যবহার করার জন্য মূল্যবান বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী তেলও কৃষকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ কারণে আগামী দিনের কৃষির অত্যন্ত দরকারী পানি সম্পদের পরিমিত ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরী।
সেচের কতিপয় প্রযুক্তির মধ্যে ড্রিপ ও বারিড পাইপ পদ্ধতি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখাসহ কম খরচে বেশি ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি (সূর্যের আলো) সেচ কাজে ব্যবহারের কলাকৌশল কৃষকদের অবহিত করা গেলে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী তেল সাশ্রয় হবে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে জানালেন, ‘সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাইলট প্রকল্প’ এর পরিচালক মুহাম্মদ রুবাইয়াৎ-উর-রহমান।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ কৃষক প্রচলিত ধ্যান-ধারণায় চাষাবাদ করায় উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাড়ছে মূল্যবান প্রকৃতিক সম্পদ ভূগর্ভস্থ পানির অপচয়। তাই সেচের পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তিগুলো কৃষকের দরজায় পৌঁছে দেয়া সময়ের দাবি। ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ কর্মী থাকায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পণা কলাকৌশলের আলোকে এসব সেবা কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার সক্ষমতা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আছে। এই যৌক্তিকতায় কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থে ৫ বছরের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ৬৫ কোটি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দেশের ৪১টি জেলার ১০০ উপজেলায় গত ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে শুরুর কথা ছিলো। তবে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কাজ ওই সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে।
এ প্রকল্পের ৬টি উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে; সেচ কাজে সৌর শক্তি ব্যবহার করে জ¦ালানী তেল বা বিদ্যুৎ ৯৫ থেকে ১০০ ভাগ সাশ্রয়, আধুনিক পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে সেচ দক্ষতা উন্নয়ন, ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বাড়ানো, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে উৎসাহিত করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও সেচ খরচ কমানো, আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা ও পানির ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকের জ্ঞান বাড়িয়ে তাদেরকে সচেতন করে তোলা এবং সমন্বিত সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন।
এ প্রকল্পে অন্তত ২৭ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবার প্রদর্শনী প্লট পাবে এবং এর সঙ্গে ৫০ হাজার প্রতিবেশী কৃষক পরিবার সরাসরি উপকারের আওতায় আসবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হবেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ কৃষক। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিঘা প্রতি ৩০০০ টাকার সেচ খরচ কমে দাঁড়াবে ২০০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকায়। পানি সাশ্রয় হবে ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ। বর্তমানে এক একর বোরো ধান উৎপাদনের জন্য ৫০ লাখ থেকে ৬০ লাখ লিটার পানি লাগে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব