রাজধানীতে পেঁয়াজ বাজার মনিটরিংয়ে বেহাল দশা
মেরাজ মেভিজ : দেশজুড়ে পেঁয়াজের বাজার মনিটরিংয়ে চলছে। সেইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা। পাইকারি ব্যবসায়ীদের হুশিয়ার করে টানাতে বলা হয়েছে মূল্য তালিকা। কিন্তু তালিকায় লেখা মূল্যতেই চলছে তুঘলকি কা-।
শনিবার সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট, ধানমন্ডির রায়ের বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার পরিদর্শনে মিলেছে এমন চিত্র। এক সারির দোকানের সঙ্গে কিম্বা কয়েকটি দোকান পরে পাল্টে যাচ্ছে মূল্য তালিকার চিত্র। কারওয়ান বাজারে টানানো পাইকারি মূল্যে কেজি প্রতি পার্থক্য ৪০ থেকে ৫০ টাকা। দামের এমন হেরফেরে বিপাকে ক্রেতারা। অথচ এর কোনো সদুত্তর নেই পাইকারি বাজারের বিক্রেতাদের কাছে। কারওয়ান বাজারে দেশি ছোট পেঁয়াজ ২২০ টাকায় বিক্রি করছেন জুয়েল হোসেন। ওপরে ঝোলানো মূল্য তালিকায়ও লেখা রয়েছে সেই একই দাম। ২৩ নম্বর আড়তের এই ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে পেঁয়াজের দাম নিয়ে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আমরা শ্যামবাজার এমনকি খাতুনগঞ্জের আড়তদারদের কাছ থেকেও পেঁয়াজ কিনি না। এই পেঁয়াজ আসে সরাসরি রাজশাহী থেকে। এতে আমরা সঠিক দামে বিক্রি করতে পারছি। আজকে ২২০ টাকায় দেশি তাহেরপুরি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। গত চালানে আসা পেঁয়াজ আরও দু’একদিন চলবে। এরপর আবার পেঁয়াজ আসবে।
তার কয়েকটি দোকান পরে ২৩ নম্বর আড়তের আরেকটি দোকানে দেশি পেঁয়াজের দাম ঝুলছে ২৩০ টাকা।
৩৯ নম্বর আড়তের চিত্র এ দুইয়ের মাঝামাঝি। এখানে এলাহী ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী জানালেন তার পেঁয়াজের দাম ২২৮ টাকা। আবার আরেকটু এগিয়ে আরেকটি দোকানে দেখা যাচ্ছে ১৬ নভেম্বরের মূল্য তালিকায় দেশি পেঁয়াজের দাম লেখা রয়েছে ২৫০ টাকা।
এক মিনিটের হাঁটা দূরত্বে তার দোকানে এমন অবিশ্বাস্য দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ পাইকারি বিক্রেতার ভাষ্য, আমার এখানে যেটা লেখা রয়েছে এটাই বাজারে আজকের সঠিক দাম।
অন্যদিকে, অপেক্ষাকৃত ছোট পাইকারি বাজার, কৃষি মার্কেট ও রায়ের বাজারে অনুসন্ধানে দেখা যায়; পাইকারি বিক্রিতে দামের এই হেরফের ২০ টাকা। প্রত্যেক বিক্রেতাই দাবি করছেন তার মূল্যই সঠিক। ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় মিলছে এসব বাজারের দেশি ছোট পেঁয়াজ। ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে যখন এমন অবস্থা তখন খুচরা বাজারে দাম ছুঁয়েছে ২৬০র ল্যান্ড মার্ক।
এদিকে অভিযানে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাণিজ্যমন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান