যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া মানেই নারী জয়ী, রুবানা হক
শাহনাজ বেগম : নারীদের নতুন উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানোর মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা দিবস ২০১৯। বিশ্বব্যাপী মঙ্গলবার এই দিবস পালনের জন্য বাংলাদেশ আইসিটি মন্ত্রণালয় আয়োজিত নারী উদ্যোক্তাদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, সব ধরনের দায়িত্বের ভার নিয়েই নারীকে এগিয়ে যেতে হয়। উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হাল ছেড়ে দেবেন না, অনেক বড় ঝড় আসলে না কেঁদে ঝড় থামান এবং তারপর কাঁদেন। এক নারী অন্য নারীকে পাশে টেনে নেয়া আমাদের দায়িত্ব বলে জানান।
‘উদ্যোক্তা সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনী পরিবেশ তৈরিতে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীদের কল্যাণে অনেক অবদান রেখেছেন। তিনি নারীদেরকে শুধু একদিন নয় প্রতিদিনই উদ্যোক্তা হতে পারেন, তার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে, যার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর অবদান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, নারী জাগরণ সারা বিশে^ বাংলাদেশ একটা জায়গা করে নিয়েছে। নারীরা যেকোন কর্মক্ষেত্রেই সফলতার ছাপ রেখে যাচ্ছে।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি নিজেদের স্বাবলম্বী ও উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেন অনেক নারী উদ্যোক্তা। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ এর আইডিয়া প্রকল্প উইম্যান ইমপাওয়ারম্যান্ট বাংলাদেশ (উইবিডি)র চেয়ারম্যান শারমিন আখতার বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২শ নারী নকশি কাঁথা, জামদানি, খামার তৈরি ইত্যাদির প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এর পাশাপাশি উদ্যোক্তা নারীদের পণ্য বাজারজাত করতে না পারলে এ প্রকল্প থেকে সহায়তা দেয়া হয়। নারীরা একসঙ্গে চললে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান