ভারতের আবাসন খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ
নূর মাজিদ : ভারতের আবাসনখাতে বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলোতে বড় অংকের বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ চলমান রয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে আবাসন শিল্পের অন্যান্য খাতে কমলেও বাণিজ্যিক আবাসনে উল্টো চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে। সার্বিকভাবে বিদেশিদের জন্য ভারতের আবাসন প্রকল্পগুলোই ছিলো বিনিয়োগের আগ্রহকেন্দ্রে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ পাঁচ বছরে এই বাবদ মোট ১ লাখ কোটি রুপি বা ১৪শ কোটি ডলারের বিদেশি পুঁজি আসে। স্থানীয় বাজার পরামর্শক অ্যানারক প্রপার্টি কনসালটেন্স জানায়, এই বিনিয়োগের সিংহভাগ বা ৬৩ শতাংশ এসেছে কমার্শিয়াল রিয়্যালিটি বা অফিস, হোটেল এবং রেস্তোরাঁ তৈরিতে। খবর : কোয়ার্টজ।
২০১৫ সাল থেকে ভারতের আবাসন খাতের বিভিন্ন ভাগে বিদেশি বিনিয়োগের হিসেবও প্রকাশ করেছে পরামর্শক সংস্থাটি। সেখানে দেখা যায়, কমার্শিয়াল সেগমেন্টে এসেছে ৮৮০ কোটি ডলারের পুঁজি। রিটেইল বা খুচরা পর্যায়ে এসেছে ১৭০ কোটি ডলার। রেসিডেন্সিয়াল সেগমেন্ট পায় ১৫০ কোটি এবং সবচেয়ে কম আসে গুদাম ও সংরক্ষণ স্থাপনা নির্মাণে। যার পরিমাণ ১শ কোটি ডলার। সামগ্রিক বিদেশি পুঁজির ৭৫ শতাংশ এসেছে বড় পাঁচটি বহুজাতিক তহবিলের কাছ থেকে। এই তালিকায় রয়েছে ব¬াকস্টোন, ব্রুকফিল্ড, জিআইসি, অ্যাসেনডাস ও জান্ডার।
এই বিষয়ে অ্যানারকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শীর্ষ নির্বাহী শোভিত আগারওয়াল বলেন, অফিস ¯েপসের চাহিদা এবং বেড়ে চলা ভাড়ার কারণেই বিদেশিরা বাণিজ্যিক আবাসনে বেশি বিনিয়োগ করছেন। এই কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে বেঙ্গালুরুভিত্তিক আবাসন কো¤পানি অ্যামবেসি অফিস পার্কসের পুঁজিবাজারে আসার উদ্যোগে (আইপিও) আশাতীত সাড়া পড়ে। এই কো¤পানিটি রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট বা আরইআইটি নামেও পরিচিত। তাদের মাধ্যমে বিপুল দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সঞ্চালন হচ্ছে কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব