এক দশকে কর আদায় জিডিপির ২০ শতাংশে নিতে চান এনবিআর চেয়ারম্যান
মো. আখতারুজ্জামান : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১০ সাল থেকে বাঙালী জাতির উৎসবমুখী রিচায়ত সামাজিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আয়োজন করে আসছে আয়কর মেলা। এবারের মেলার সেøাগান ছিলো, সবাই মিলে দেবো কর, দেশ হবে স্বনির্ভর ও প্রতিপাদ্য ছিলো, কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন।
এনবিআর প্রথম বছর মাত্র দুটি স্পটে মেলায় আয়োজন করা হলেও করদাতাদের চাহিদায় তা সারা দেশব্যাপী করা হয়েছে। এবারে দেশের ৮টি বিভাগ, ৫৬টি জেলা এবং ৫৬টি উপজেলাসহ মোট ১২০টি স্পটে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় পেশাজীবী, চাকুরিজীবী, তরুণ করদাতা, নারী করদাতা এবং ই-পেমেন্ট বুথের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো। মেলার শুরুর দিনে থেকে করদাতাদের ছিল ব্যাপক উপস্থিতি। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে মেলার শুরুর দিন থেকে প্রতিদিন পরিদর্শন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি মেলায় আগত করদাতাদের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
বুধবার আয়কর মেলার শেষ দিনে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর আয়কর ইউনিট’র (এলটিইউ) আয়করের আওতাধীন ২১টি প্রতিষ্ঠান এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে আয়করের পে-অর্ডার হস্তান্তর করেন। এ উপলক্ষে আয়কর মেলা প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
এ সময় তিনি বলেন, ২০২৫ সালে কর জিডিপি ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে ২০ শতাংশ নিয়ে যেতে চাই। এ জন্য সবার সহোযোগিতা প্রয়োজন। সামর্থবানদের আয়কর প্রদান করা নৈতিক দায়িত্ব। দেশের উন্নয়নে বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করা হয়। আমাদের ডিজিপি গ্রোথ ৮ শতাংশের ওপরে। এটা ধরে রাখতে হলে কর ডিজিপি বাড়াতে হবে।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করদাতারা আয়করমেলাকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন। আমাদের কর অফিসেও এমন নির্ভরযোগ্যভাবে কর দিতে পারবেন। ট্যাক্স অফিসেও নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে কর দিতে পারবেন। যে কর্মকর্তারা করদাতাদের হয়রানি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাংক ও বীমা খাতের ২১টি প্রতিষ্ঠান ২৯৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক যোগাযোাগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এনবিআর চেয়্যারম্যান বলেন, বৃহত্তর আয়কর ইউনিটের সর্বোচ্চ করদাতা তিনি। এবার তিনি ৩০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন।
এনবিআর চেয়্যারম্যান জানান, আজকে মেলার শেষ দিন মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে যতোক্ষণ করদাতারা থাকবে ততোক্ষণ তাদের সেবা দেয়া হবে। আমরা করের আওতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি। করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করছি। মেলাও তারই একটি অংশ। আয়কর মেলা বুধবার শেষ হলেও ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কর অঞ্চলে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া যাবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান