দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাজধানী সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
অর্থনীতি ডেস্ক : বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে টিকাটুলিতে রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরও চাওয়া হলে ৬টি ইউনিট ও ২টি গাড়ি পাঠানো হয়। পরে আরও তিনটি ইউনিট এসে যুক্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বণিক বার্তা অনলাইন, বাংলা ট্রিবিউন, একুশে টিভি অনলাইন
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘রাজধানী সুপার মার্কেটে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিলো না। পানির ব্যবস্থাও ছিলো না। আমরা বিশেষভাবে গাড়িতে করে পানির ব্যবস্থা করেছি। মার্কেটটি টিনশেডের তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের বেগ পেতে হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হই।’
আগুন লাগার কারণ কী ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে দেবাশীষ বর্ধন বলেন, মার্কেটের দোতলা থেকে আগুন লাগে। ২৩৫ নম্বর দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এটি ফোমের দোকান ছিলো। অগ্নিকা-ের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পরই আগুনের সূত্রপাতের প্রকৃত কারণ জানানো যাবে।
ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ১০ থেকে ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানানো যাবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগুন লাগার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়েছে। সাধারণ মানুষকে মার্কেটের কাছে সরিয়ে নিয়েছে। শুধু ব্যবসায়ী ও ফারায় সার্ভিসের কর্মীরা ছাড়া কাউকে সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।
মার্কেটের পাশেই সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং আশপাশে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট আছে, যেখানে সিলিন্ডার থাকতে পারে। তাই তখন আশেপাশের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
দোতলার দোকানি আয়নাল হোসেন জানান, পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে অনেক পার্টি আসতে পারেনি। মার্কেটে লোক স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিলো। আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে আমরা আগত ক্রেতাদের বের করার চেষ্টা করি। পরে নিজেরা বের হই।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানী সুপার মার্কেটের একটি পাশ নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট নামে পরিচিত। ওই ভবনের দোতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে অর্ধশতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে দোতলার একটি ইউনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং আমরা ছোটাছুটি শুরু করি। অল্প সময়ের মধ্যে অন্য ইউনিটগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটের দোতলায় যে পাশে আগুন লেগেছে সেখানে বেডশিট, কাপড়, টেইলার্সের ৩০-৩৫টি দোকান ছিলো। কাপড়ে আগুন ধরে যাওয়ায় দ্রুত পাশের দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে যায়। ফাতেমা আহমেদ। রেআ