আমাদের বিশ্ব • আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৩
চাল-লবণ নিয়ে অপপ্রচারে কান না দিতে প্রধানমন্ত্রীর আহŸান
অর্থনীতি ডেস্ক : দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও একটি গোষ্ঠী চাল নেই, লবণ নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো আছে। তারপরও একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এসব মোকাবেলা করে আমাদের চলতে হবে। বাংলা ট্রিবিউন, পূর্বপশ্চিমবিডি, বার্তা২৪
বৃহস্পতিবার সকালে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে, প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছি। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছি। যাদের জমি নেই, তাদের জমি দিচ্ছি। গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেককে পুনর্বাসন করছি।
সরকারের নানা কর্মকাÐের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিবের সন্তানরা যেন লেখাপড়া করতে পারে, সেজন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। বিনা পয়সায় ছেলে-মেয়েদের বই দেয়া হচ্ছে। আজকের শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে পারে, তারা যেন এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে, সেজন্যই আমরা এ কাজগুলো করছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বরং উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশ। আমাদের মাছ উৎপাদন বেড়েছে, তরিতরকারি উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য ও পুষ্টির দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি। আমরা প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যথাযথ কাজ হাতে নিয়েছি এবং এটা আমরা অব্যাহত রাখবো।’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা যারা বেঁচে আছেন, আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়ে, নাতিপুতি অথবা এলাকাবাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন। মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন জানতে পারে যে বাঙালি কখনও পরাজিত হতে পারে না। সেই মর্যাদায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা গর্বিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদের গড়ে তুলবো। বিশ্বসভায় সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবো। বিজয়ী জাতি হিসেবে নিজেদের আত্মমর্যাদাবোধ গড়ে উঠবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মাথা উঁচু করে চলতে শিখবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স করে দিচ্ছি। যাতে ওই অঞ্চলে যে যুদ্ধ হয়েছে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো থাকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেসব সম্পর্কে জানতে পারে। একইভাবে গণহত্যার জায়গাগুলো সরকার সংরক্ষণের চেষ্টা করছে।’ চিহ্নিত না হওয়া গণকবরগুলো খুঁজে বের করার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।