আমাদের বিশ্ব • আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
সরবরাহ বাড়িয়ে বিভাগীয় ও জেলা শহরে পৌঁছালো টিসিবির পেঁয়াজ
মেরাজ মেভিজ : পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা চলছে। দাম কমলেও এখনও তা রয়েছে সাধারণের নাগালের বাইরে। সবদিক বিবেচনায় পেঁয়াজ বিক্রয়ে দেশের সব বিভাগীয় শহরকে এবার সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলের আওতায় নিয়ে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমনকি পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে জেলা শহরের সংখ্যাও।
গত কয়েকদিন ধরেই পর্যায়ক্রমে বাড়ছে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির এলাকা। সিলেটে টিসিবির ট্রাক সেলের পেঁয়াজ নিয়ে হুলুস্থুলের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর অসতর্কতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুইজন। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবির ট্রাক সেলের পরিধি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকার বাইরের পরিধী সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসিও জানালেন কেবল ঢাকার ট্রাকসেলের বিষয়গুলোই। তার ভাষায়, রাজধানীতে আগে ৩৫টি স্থানে ট্রাক সেলের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা বাড়িয়ে ৫০টি স্থান করা হয়েছে। তবে ঢাকার বাইরের অবস্থা সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
বিস্তারিত জানিয়ে টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ প্রতিবেদককে বলেন, পুরো দেশে আমরা পরিধি বাড়িয়েছি। বুধবার দেশের ৫টি বিভাগীয় শহরে পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সবগুলো বিভাগীয় শহরে এবং বেশকিছু জেলা শহরে ৪৫ টাকা কেজিতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। যা আরও বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে এতে বাড়ছে না জনপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রির পরিমান। টিসিবি মুখপাত্র বলেন, প্রতি ট্রাকে ১ হাজার কেজি করেই পেঁয়াজ সরবারাহ করা হচ্ছে। তবে জনপ্রতি দেশের কোথাও কেউই ১ কেজির বেশী পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না।
এদিকে চলতি সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এরমধ্যে গত কয়েকদিনে সমুদ্র পথের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আকাশ পথেও এসেছে পেঁয়াজ। মিসর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে মূলত পেঁয়াজের এসব চালান আসছে। সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। আর সরবরাহ বাড়াতেই দেশজুড়ে নিজেদের কার্যক্রমন বাড়ানো গেছে বলে জানিয়েছে সরকারি বিপনন সংস্থাও।
প্রসঙ্গত, আমদানির পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে দেশি পাতাসহ পেঁয়াজও। আর এতে পেঁয়াজের মূল্যও কমছে দ্রæত গতিতে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা আচার্য্য