নূর মাজিদ : ২০৩০ সালের মাঝে জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ, ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা এবং ভোক্তাদের খাদ্যাভাসে জরুরিভিত্তিতে পরিবর্তন আনা দরকার। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী কমিটির সদস্য সিন ডি ক্লিন এমন কথা জানিয়েছেন। তিনি সংস্থাটির আগামীদিনের খাদ্য গবেষণা শীর্ষক প্রধান। খবর : ডব্লিউই ফোরাম ডটওআরজি।
গত সোমবার ডব্লিউই ফোরামের নিজস্ব ব্লগে প্রকাশিত এক কলামে সিন ডি ক্লিন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ চক্রের প্রচলিত কাঠামো পরিবর্তনের কথা এখন ধীরে ধীরে সবাই অনুধাবন করতে পারছেন। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ঝুঁকির কারণেই এখন খাদ্যচক্রে পরিবর্তনের কথা বলছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং ক্ষুদ্রচাষিদের বহুজাতিক কৃষি সংস্থার শোষণ থেকে মুক্ত করতে যার কোনো বিকল্প নেই। খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ চক্রে পরিবর্তনের এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। পরিবর্তনের চেষ্টা বড় আকারের সামাজিক ও রাজনৈতিক চ্যালঞ্জ বটে। একইসঙ্গে, এই প্রজন্মের সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করারও সুযোগ আছে এখানে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল মানুষের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমেই শুধু পরিবর্তন আনা সম্ভব।
২০২১ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট শীর্ষক সম্মেলনে এসব আলোচনাই প্রাধান্য পাবে। খাদ্যচক্রের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ব নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ে তুলে ধরবে জাতিসংঘ। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান