যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ সাধারণ সম্পাদক নিখিল
অর্থনীতি ডেস্ক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে ভাবমূর্তি সঙ্কটে পড়া যুবলীগকে উদ্ধারের এ দায়িত্ব তিন বছর পালন করবেন পরশ-নিখিল। বাসস, বাংলানিউজ, বাংলাট্রিবিউন
শনিবার সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের কংগ্রেসের উদ্বোধন করার পর বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।
সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনের এ অধিবেশনে কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান চয়ন ইসলাম পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে পরশের নাম প্রস্তাব করলে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ তা সমর্থন করেন। এ পদে আর কোনো নামের প্রস্তাব না ওঠায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পরশ।
পরে অধিবেশনস্থলে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল বর্তমান পদবি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ভিত কেঁপে ওঠে যুবলীগের। যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করার পর এক পর্যায়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ওমর ফারুক চৌধুরীকে। পরে যুবলীগ পরিচালনায় গঠিত হয় কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে কে আসছেন, তা নিয়ে গত বেশ কিছুদিনের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি আসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির দুই ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস ও শেখ ফজলে শামস পরশের নামই।
সংসদ সদস্য তাপস বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির সাবেক ছাত্র ফজলে শামস পরশ এতোদিন রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তিত্ব হিসেবে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। শেষ পর্যন্ত পরশকেই দেয়া হলো আওয়ামী লীগের যুবসংগঠনের প্রধান দায়িত্ব।
শেখ ফজলে শামস পরশ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে আবারও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরশের বর্তমান বয়স ৫১ বছর।
পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কালরাতে শেখ ফজলে শামস পরশের বাবা-মাও শহীদ হন। ওই সময় তিনি ও তার ছোট ভাই ঢাকা-১২ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। ওই সময় পরশের বয়স ছিলো ছয় বছর এবং তাপসের বয়স ছিলো চার বছর।
এদিকে মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি এবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা নির্বাচিত হলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে সাতজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সাধারণ সম্পাদকের নাম চূড়ান্ত করার জন্য ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়। তবে সমঝোতা না হওয়ায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার মতামত অনুসারে নিখিলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী মাইনুল হোসেন খান নিখিল দুই যুগের বেশি সময় ধরে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগে তিনি উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে অন্য যাদের নাম আসে তারা হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, সুব্রত পাল, মনজুর আলম শাহিন, ইকবাল মাহমুদ বাবলু ও বদিউল আলম। জিয়ারুল হক। রেজা