একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন আর নেই
বাসস : একুশে পদকজয়ী কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন ৭৬ বছর বয়সে মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রবিউল হুসাইন এক ধরনের ‘বোন ক্যান্সার’ রোগে ভুগছিলেন। এতে তার রক্ত কমে যাচ্ছিলো। ১৬ নভেম্বর রবিউল হুসাইন বিএসএমএমইউতে হেমাটোলজি বিভাগে অধ্যাপক মাসুদা বেগমের অধীনে ভর্তি হন। তার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। সোমবার শেষ রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। তার প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাচ্ছিলো।
রবিউল হুসাইন ১৯৪৩ সালে ঝিনাইদহের শৈলকূপায় জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। কবি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্যও কাজ করেছেন ।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন।
রবিউল হুসাইনের লেখা উল্লেখযোগ্য বই হলো- ‘কী আছে এই অন্ধকারের গভীরে’, ‘আরও ঊনত্রিশটি চাঁদ’, ‘স্থিরবিন্দুর মোহন সংকট’, ‘কর্পূরের ডানাঅলা পাখি’, ‘আমগ্ন কাটাকুটি খেলা’, ‘বিষুবরেখা’, ‘দুর্দান্ত’, ‘অমনিবাস’, ‘কবিতাপুঞ্জ’, ‘স্বপ্নের সাহসী মানুষেরা’, ‘যে নদী রাত্রির’, ‘এইসব নীল অপমান’, ‘অপ্রয়োজনীয় প্রবন্ধ’, ‘দুরন্ত কিশোর’, ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘গল্পগাথা’, ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়াগুলি’ ইত্যাদি।
বিশিষ্ট এ সমালোচক, কবি ও স্থপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুম রবিউল হুসাইনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাষ্ট্রপতি যথাযোগ্য মর্যাদায় সাহিত্য ও স্থাপত্যে এই বিশিষ্ট স্থপতির অবদান স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার মৃত্যু সাহিত্য ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি।’ ফাতেমা আহমেদ