এল আর বাদল : হিমালয় কন্যা নেপালের কাঠমান্ডুতে গতকাল জমকালোভাবে উদ্বোধন হলো ত্রয়োদশ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ)। দশরথ স্টেডিয়ামে অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট জীবন রাম শ্রেষ্ঠা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর ঘোষণা দেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন দেশটির ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সদস্য সচিব রমেশ কুমার সিলওয়াল। বিকাল ৫টায় গেমসের উদ্বোধন করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভা-ারি। এসময় প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি উপস্থিত ছিলেন। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর উদ্বোধনী ভাষণের পরেই সাবেক চার তারকা অ্যাথলেট মশাল ব্যাটন নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। মশাল প্রজ্জ্বলন করে এসএ গেমসে আলো জ্বালান চারবারের সোনাজয়ী সাবেক তায়কোয়ান্ডোকা দীপক বিষ্ঠা। এরপর ক্রীড়াবিদদের পক্ষ থেকে শপথ বাক্য পাঠ করান নেপালের তারকা ক্রিকেটার পরেশ খাড়কা এবং কোচদের পক্ষ থেকে রেফারি দীপক থাপা।
অতিথিরা আসন গ্রহণের পরই কয়েক মিনিটের আকর্ষণীয় লেজার শো দেখানো হয়। এরপর সাত দেশের ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণে মার্চপাস্ট পর্যবেক্ষণ করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের পক্ষে মার্চপাস্টে দেশের পতাকা বহন করেন কৃতি সাঁতারু মাহফুজা আক্তার শিলা।
কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ৩০ হাজার দর্শক একসাথে উপভোগ করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বর্ণিল উদ্বোধনী আয়োজনে প্রথমেই ছিলো স্বাগত নৃত্য। ১২ মিনিট স্থায়ী প্রদর্শনীতে নেপালের সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ফোর্সেস ও নেপাল পুলিশের এক হাজার চৌকস সেনারা সাত দেশের নামের সঙ্গে মাঠেই সংশ্লিষ্ট দেশের মানচিত্র ফুটিয়ে তুলেন নিজেরা। অনুষ্ঠানে নেপালের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যও ছিলো, যা ‘মাসকেলেস থিনিক’ নামে পরিচিত। দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসরের ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ক্রিকেটসহ ২৫টিতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রথম এবং ১৯৯৯ সালে অস্টম আসরের আয়োজন করেছিলো নেপাল। এবার তৃতীয়বারের মতো এসএ গেমসের আয়োজন করলো তারা। এবারের এসএ গেমসে ৩ হাজার ২৫০জন এ্যাথলেট অংশ নিচ্ছ্।ে ১ হাজার ১১৯টি পদকের জন্য লড়বেন ক্রীড়াবিদরা। তার মধ্যে ৩১৭টি করে সোনা ও রুপা এবং ব্রোঞ্জ ৪৭৯টি।