সুলতান আহমেদ : ২] চলতি অর্থবছরের পঞ্চম মাসে (নভেম্বর) সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। ৩] অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে জুলাই-নভেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে এসেছে ৫ হাজার ৮৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের এই সময়ে ছিল ২১ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ৭৩ শতাংশ।
৪] জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার না কমিয়ে বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ এবং ১ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করেছে। ৫] সঞ্চয়পত্রের সকল লেনদেন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে করা, দুর্নীতি বা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেইস সংরক্ষণের জন্য অভিন্ন সফটওয়্যারে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা।
৬] এছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর অবস্থানে সরকার। ভবিষ্যতে তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবেনা। ৭] এই নীতিতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে কর কমিশনারের প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক এবং কৃষি খামারের নামে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে লাগবে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন।
এসব কারণে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ প্রতিনিয়ত কমেছে। মেরাজ মেভিজ