রাইজিংবিডি : ২] আমাদের দেশের কারাগারগুলোতে সম্প্রতি বন্দীদের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। কারাবন্দীদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কারাপণ্য স্টলে।
৩] স্টলগুলোতে রয়েছে দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক থাকা কয়েদীদের তৈরি জিনিসপত্র। এর মধ্েয গৃহসজ্জা সামগ্রী থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহার্য গৃহস্থালী সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- কাঠের চেয়ার, টেবিল, বেতের চেয়ার, টেবিল, মোড়া, নকশী কাঁথা, জামদানি শাড়ি, গামছা-তোয়ালে, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, নানা ধরনের কাঠের শো-পিস, ক্রিস্টাল পুঁতির শো-পিস, পাটের ব্যাগ, দোলনা, টি-শার্ট প্রভৃতি। এসব পণ্যের কোনটি হস্তশিল্পের তৈরি, আবার কোনটি তৈরি করা হয়েছে যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে। প্রতিটি পণ্েযর গায়ে নির্দিষ্ট মূল্য ও উৎপাদনের স্থান উল্লেখ করা আছে। দৃষ্টিনন্দন এসব পণ্য নজর কাড়ছে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের।
৪] স্টলে বিক্রয়কর্মীরা সকলেই জেল পুলিশ স্টাফ। উল্লেখিত দামে পণ্য বিক্রি করে তারা রশিদ দিচ্ছেন ক্রেতাকে। নির্দিষ্ট ও সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি। এসব পণ্য উৎপাদনে শ্রমের দাম কম, তাই পণ্যের দাম অন্যান্যদের চেয়ে বেশ কম। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
সে কারণে ক্রেতাদের আগ্রহও ভালো।
৫] স্টলে দায়িত্বরত কারা পুলিশের ডেপুটি জেলার জাকির হাসান রিয়াল বলেন, ‘বন্দীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন ও সংশোধনের জন্য সরকারের এই উদ্যোগ। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন বন্দীদের শ্রমের অপচয় রোধ হচ্ছে, তেমনি তারা কাজ শিখছে ও কারাগারে থেকেই অর্থ আয় করতে পারছে। এসব অর্থ তারা নিজেদের প্রয়োজনে খরচ করতে পারছে এবং চাইলে বাড়িতেও পাঠাতে পারে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্দীরা জেল থেকে বের হওয়ার পর অপরাধ জগত থেকে ফিরে আসতে পারবে।’ ফাতেমা আহমেদ