বাংলানিউজ : ২] প্রযুক্তির বিষ্ময়কর ভার্সন ‘ফাইভ-জি’। এই ফাইভ-জি সেবা চালু হলে প্রযুক্তি ব্যবহারে গতিময় হবে মানুষের জীবন। এ প্রযুক্তি মানুষের জীবনধারায় কেমন প্রভাব ফেলবে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে কতটা লাভবান হবে মানুষ, তাই দেখাচ্ছে একটি রোবট। হাতের ইশারায় রোবটটি খেলছে ফুটবল। আর এটিই এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
৩] এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ফাইভ-জি’র পরীক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে রোবটটি। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোবট দিয়ে ফুটবল খেলতে আসছেন অনেকেই। মেলায় রোবটটি নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের প্যাভেলিয়নে শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি হওয়ার কারণটি হচ্ছে, এই ‘হিউম্যানয়েড রোবট’। বিশেষভাবে নির্মিত রোবটটিকে যে কেউ নিজ হাতের ইশারায় ফুটবল খেলাতে পারে।
৪] হুয়াওয়ের সিনিয়র সল্যুশন ম্যানেজার এসএম জুবায়ের আহমেদ বলেন, রোবটের সামনে একটি ক্যামেরা আছে, তার সামনে হাতের আঙ্গুল দেখালে সামনে এগোবে বা পেছাবে এবং ফুটবলে কিক করছে। রোবট চালনার প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে তিনি বলেন, আঙ্গুল দেখালে ডাটা যাচ্ছে কোর নেটওয়ার্কে, সেখান থেকে রোবটের সার্ভারে যাচ্ছে এবং রোবটের কাছে ফিরে আসছে।সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব
৫] ‘কীভাবে ডাটা দ্রুত চলে যাচ্ছে এবং ফিরে আসছে, অর্থাৎ রিয়েল টাইম; ফাইভ-জি এত ফাস্ট, এটাই ফাইভ-জি’র চমক। এছাড়াও দর্শনার্থীরা রিয়েল টাইম ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) উপভোগ করছেন। প্লে-জোনে ফাইভ-জি ভিআর চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের আবিষ্কার করছেন বরফের উপর স্কিইরত অবস্থায়।
হুয়াওয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিআর চোখে দিয়ে বরফের মধ্যে স্কেটিং করার অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। এটা ফাইভ-জি নেটওয়ার্কেই সম্ভব, কারণ ফাইভ-জিতে হাইস্পিড পাওয়া যায়। উন্নত প্রযুক্তি এবং অডিও কিংবা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন। কেএম নাহিদ