৫ মাসের ব্যবধানে আবারও মিরপুর চলন্তিকা বস্তিতে অগ্নিকা-, নিঃস্ব দেড়শতাধিক পরিবার
মাসুদ আলম : ২] শুক্রবার ভোর ৪টা ৯মিনিটে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট পৌনে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের কারণ ও ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। এঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুনের দগ্ধ হয়ে পারভীন নামে এক নারীসহ দুইজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩] মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, ৪৮ জন মালিকের ৩৭৭টি কক্ষ পুড়েছে। কতজন পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। কোন ভাড়াটিয়া দুটি ও তিনটি কক্ষ নিয়েও থাকতো।
৪] সরজমিনে দেখা যায় চারিদিকে পড়ে আছে পোড়া টিন-আসবাবপত্র। পোড়া ধ্বংসস্তূপে মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজছে ক্ষতিগ্রস্তরা। অনেকে মাথায় হাত দিয়ে বিলাপ করছেন।
৫] বস্তির বাসিন্দারা জানান, বস্তিবাসী যখন ঘুমিয়ে, ঠিক সেই সময় আগুনের সূত্রপাত। আগুন আগুন বলে চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গে তাদের। আগুন দ্রুত ছঁড়িয়ে পড়ায় পরনের জামা-কাপড় ছাড়া আর কিছু নিয়ে বের হতে পারেনি। দোকান এবং রিকশা পুড়েছে। প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ এখন আশ্রয়হীন। অনেকের কপালে সকালের খাবারও মেলেনি। ঝিলের উপর বিশাল জায়গা নিয়ে গড়ে উঠা বস্তির কিছু অংশ পুড়েছে। পরিকল্পীতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। বস্তিকে ঘিরে মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয় ।
৬] ষাটোর্ধ্ব হনুফা খাতুন জানান, ১৯৮৬ সাল থেকে ওই বস্তিতে থাকেন। একটা দোকান দিয়েই সংসার চলত। দোকানের আড়াই লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে এখন নি:স্ব।
রহিমা জানান, ছেলে-মেয়ের সঙ্গে বস্তিতে থাকেন। একটা এনজিও থেকে এক লাখ টাকা লোন নেন। সব টাকা ঘরে ছিল। এখন লোনের কিস্তিই দিবো কিভাবে? চোখের সামনে সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।