দেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের অবদান প্রতিবছর সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা
শরীফা খাতুন : ২] দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৩ লাখ মানুষের রুটি-রুজির উৎস এই বন বছরের অধিকাংশ সময়েই থাকে অরক্ষিত ও অনিরাপদ। দেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের অবদান প্রতিবছর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা হলেও জনবল সংকটের মধ্য দিয়ে চলে সুন্দরবনের বন বিভাগ।
৩] বনবিভাগ সূত্রে থেকে জানা যায়, বনে ব্যবহারের জন্য নেই আধুনিক নৌযান, আধুনিক অস্ত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, যানবাহনের অভাব, বনরক্ষীদের রেশন, ঝুঁকিভাতা ও চিকিৎসা সেবার কোনো সুবিধাই নেই। অপ্রতুল জনবল নিয়ে দস্যু, চোরা-শিকারি, বনজীবী ও মৎস্যজীবীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে বনবিভাগ। নিরাপত্তাহীনতায় দুই যুগে অন্তত ১২ জন বনরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। ৫] বনবিভাগ খুলনা সার্কেলের তথ্যমতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের মোট আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। বনের দুটি বিভাগ পূর্ব ও পশ্চিম। বিভাগ দুটির আওতায় রয়েছে চারটি রেঞ্জ। এর মধ্যে বাগেরহাট অংশের তিন উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মংলাসংলগ্ন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব
পূর্বসুন্দরবনকে শরণখোলা ও চাঁদপাই দুটি রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। এ রেঞ্জের অধীনে আটটি স্টেশন ও ৩০টি ফাঁড়ি। এখানে প্রতি আট বর্গকিলোমিটারে বনরক্ষী মাত্র একজন। পশ্চিম বিভাগে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার কয়রা, দাকোপ, শ্যামনগরসংলগ্ন খুলনা ও সাতক্ষীরা দুটি রেঞ্জে বিভক্ত। এ দুটি রেঞ্জের অধীন নয়টি স্টেশন। বনের ভেতরে রয়েছে শতাধিক খাল। এসব খাল-নদী দেখভালের জন্য ক্যাম্প আছে ৭৬টি।
৬] সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন বলেন, সুন্দরবনে প্রয়োজনের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ জনবল ঘাটতি রয়েছে। গ্রন্থনা : জিয়ারুল হক।