[১]মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন, বললেন কৃষিমন্ত্রী
মতিনুজ্জামান মিটু : [২] ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে শুরু হয় পাকহানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর গণহত্যা। ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে পাকবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় অবরুদ্ধ স্বদেশ থেকে দখলদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার মরণপণ লড়াই-মুক্তিযুদ্ধ। [৩] মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেশ স্বাধীন না করলে আজ আমরা কোনোভাবেই নিজেদের স্বাধীন জাতি ভাবতে পারতাম না, পরাধীনতার শিকল হয়তো আমাদের আজও তাড়া করে বেড়াতো। গতকাল ধানমন্ডির ‘অবসর ভবনে’ বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। [৪] মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের দামাল ছেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীকে বিতাড়িত করে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিনিয়ে এনেছেন। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব
বীর মুক্তিযোদ্ধারা কখনও তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেননি।
[৫] তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
[৬] সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ হারুন পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিসুজ্জামান। মুক্তিযোদ্ধা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও মুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলী সরকার।