[১]সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নয়,পর্যটনশিল্প বিকশিত করতে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত
সাইদ রিপন : [২] মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ন: বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলন করেন। পরিকল্পনটি প্রণয়ন করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এসময় জিইডি সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
[৩] শামসুল আলম বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপে জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সেজন্য গভীর সমুদ্রবন্দর করলে সেটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য সেখানে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজনে সমুদ্রবন্দর অন্য জায়গায় গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। [৪] এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সেখানে সমুদ্রবন্দর থেকে সরে আসব বিষয়টা এরকম না। এখানে আলোচনা হয়েছে যে, সোনাদিয়া সুন্দর জায়গা। এর বৈচিত্র রক্ষা করা হোক। গভীর সমুদ্র হবে নাকি অগভীর হবে, না পর্যটন হবে –এটা নিয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মূল কথা সোনাদিয়াকে ক্ষতি করে এখানে কিছু করা হবে না। [৫] এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও বর্তমানে এই মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।