অর্থনীতি ডেস্ক : [২] সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে চলছে টানা সংঘর্ষ। অগ্নিসংযোগ, গুলি, বাড়িতে ঢুকে হামলা, কোনও কিছুই বাদ নেই। বুধবার সকালে আরও ৫ জনের মৃত্যু ও দুই দিনের সহিংসতায় শিশুসহ ২৭ জন নিহত হন। শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীদের উচ্ছেদের আবেদন মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করে সব দলকে সংযত আচরণের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রীম কোর্ট। দিল্লি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পেশাদারিত্বের অভাব ছিলো বলেও মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্ট।
[৩] বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে নতুন করে পাথর নিক্ষেপ শুরু হয় উত্তর-পূর্বের ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদ এলাকায়। গোকুলপুরীতে একটি দোকানে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৪] গোকুলপুরীর ভাগীরথী বিহার এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করে সিআরপিএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। সীলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরীতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। [৫] কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ প্রশাসন কেন আগে থেকে সক্রিয় হয়নি, অমিত শাহ কী করছিলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখেও কেন আগে থেকে পুলিশ আসলো না। সূত্র : দ্য হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার, এই সময় গ্রন্থনা : ফাতেমা আহমেদ। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব
[৬] টুইটে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁন্ধী অবশ্য নাম না বলে দিল্লিতে সংঘর্ষের পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। কার ষড়যন্ত্র, কী ষড়যন্ত্র সেসব স্পষ্ট না করলেও সংঘর্ষ এতো বড় আকার নেয়ার দায় দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং শাসক দল বিজেপির দিকে।