[১]১৩ বছরে বাংলাদেশে আগুনে পুড়েছে ১২ হাজার মানুষ ও এক হাজার ৯১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, সম্পদহানির পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা
রাজীব রায়হান : [২] প্রতি বছরই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতাহত ও সম্পদহানি ঘটছে। ঘটনার পর তদন্ত কমিটিও হয়। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে অগ্নিকান্ডের কারণ উল্লেখ করে। নানা সুপারিশ করে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য। এসব সুপারিশমালা বাস্তবায়ন হয় খুবই কম। জনকণ্ঠ [৩] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ২০১৯-এ শিল্প কারখানা ও আবাসিক ভবনে ছোট বড় মিলিয়ে ২৪ হাজার ৭৪টি অগ্নিকান্ডে সম্পদহানি হয়েছে ৩৩০ কোটি ৪১ লাখ টাকার। মৃত্যু হয়েছে ১৮৫ জনের। [৪] রিপোর্টে বলা হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চাহিদা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অবকাঠামো বাড়ানো হলেও এখনও সেক্টরটি অত্যাধুনিকভাবে গড়ে ওঠেনি। [৫] পুরান ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটি ১৭ দফা সুপারিশ করেছে। সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে জরুরী ভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেওয়া, অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, ‘অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩’ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা, ঘরবাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তারের গুণগতমান নিশ্চিত করা, রাস্তায় স্থাপিত খোলা তারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা। সম্পাদনা : মাসুদ কামাল।