[১]এবার ডিএনসিসি ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি মার্কেট ও বাস টার্মিনাল ভবন ভাঙ্গবে
সুজিৎ নন্দী : [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ঝুঁকিপূর্ণ গুলশান ১ নম্বরের পাকা মার্কেট (দক্ষিণ), গুলশান ২ নম্বরের কাঁচা মার্কেট (উত্তর), মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, রায়েরবাজার মার্কেট এবং কারওয়ান বাজার মার্কেটের চারটি ভবন ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনাল ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ভাঙ্গার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে দোকানদারদের মার্কেট ভেঙ্গে ফেলার কথা জানানো হয়েছে।
[৩] সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। সে সময় সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যবহারের অনুপোযোগী বলে উল্লেখ করা হয়। এ সময় ভবনগুলো ভাঙার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। আগামী এপ্রিল মাস থেকে সবকটি ভবন ভাঙ্গার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।
[৪] মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সকল মার্কেটই আমরা ভেঙ্গে অত্যুধুনিক মার্কেট তৈরি করবো। একাধিকবার বুয়েট এ মার্কেটগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে। তাদের সিদ্ধান্ত ও দোকান মালিক সমিতি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত করা হচ্ছে। [৫] ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, মার্কেটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শীঘ্রই সেগুলো পরিত্যক্ত ভবনের ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে কাজ করছে রাজস্ব বিভাগ। প্রত্যেকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা করে এবং নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। [৬] গুলশান ২ নম্বরের কাঁচা মার্কেটের নিচতলার মাছ ও মাংসের বাজারের অংশটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
এই অংশ দ্রুত ভাঙার সুপারিশ করা হয়েছে। গুলশান ১ নম্বরের পাকা মার্কেটে ২০১৭ সালে আগুন লাগার পর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মার্কেটটি ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করে হয়।