বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] বিশ্বব্যাপি জ্বালানি তেলের দাম ৪৫ শতাংশ কমেছে। আগামী কয়েক মাসে আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে ওপেক। বর্তমানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত ১ ব্যারেল (১৬৯ লিটার) জ্বালানি তেলের মূল্য প্রায় ৩০০০ টাকা।
[৩] বিশ্বব্যাপি করোনায় বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি ক্ষতির অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারে জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়িয়ে। এবং দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়ে।
[৪] অর্থনীতিবিদ রাশেদ তিতুমির মনে করেন, পেট্রোলের লিটার ৬০ টাকার নিচে সহজেই সরকার নামিয়ে আনতে পারে। তাতে করোনার কারণে বাজারে যে পণ্যমূল্য বাড়বে তা সমন্বয় করতে পারবে। পণ্যের উৎপাদন মূল্য কমবে, পরিবহন খরচ কমবে। এমনকি সেচের মূল্য কমে কৃষকেরও লাভ হবে। এতে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বাড়বে। অভ্যন্তরীণ বাজার চাঙ্গা হবে। [৫] যেসব শিল্প সরসরি লাভবান হবে এগুলো হলো, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি, সিমেন্ট কারখানা, গ্যাস শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। পণ্যের প্যাকেজিং খরচও কমে যাবে। [৬] সরকারের জ্বালানি তেল আমদানিতে খরচ কমে যাওয়ায়, উন্নয়ন খাতে আরো বিনিয়োগ করতে পারবে। বাজেট ঘাটতি কমে যাবে। গত ৭ মাসে সরকারের রাজস্ব আয়ে ঘাটতি প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। সরকারের ঋণ নিতে হবে না।
[৭] করোনার কারণে, বাংলাদেশের ক্ষতি হবে সব মিলিয়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাব আঙ্কটাডের। চীন থেকে যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে । নিট ও ওভেনের ৮০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আসে। কাকড়া ও কুঁচে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে, ডায়িং শিল্পেও মন্দা দেখা দিয়েছে। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের কাঁচামালের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল
[৮] বর্তমানে বাংলাদেশে ১ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮ হাজার টাকা। হ্রাসকৃত মূল্যে জ্বালনি তেল আমদানি করতে সরকারের খরচ হবে মাত্র ৩ হাজার টাকা।
[৯] বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস বাংলাদেশের সামনে অর্থনীতির নতুন সুযোগ খুলে দিয়েছে। এটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে। করোনায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে যে ক্ষতি হবে তা কাটিয়ে জিডিপিতে আরো পয়েন্ট যোগ করতে পারবে।