মুসা আহমেদ : [২] করোনার প্রভাবে আমদানি রপ্তানি স্থবিরতায় সৃষ্টি হয় এ সঙ্কট। করোনা মহামারি আকার ধারণ করলে চালের আমদানিকারকরা মজুদ বাড়াতে শুরু করে। অন্যদিকে, রপ্তানিকারকরা শিপমেন্টে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। সিএনবিসি
[৩] ভারতের বেশ কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, করোনায় লকডাউন ভারতের অধিকাংশ শহর। ফলে চাল রপ্তানিকারকরা নতুন চুক্তিগুলো আপাতত স্থগিত করেছে। তাছাড়া আগের রপ্তানি চুক্তিগুলো শ্রমিক সংকট ও অন্যান্য নীতিগত কারণে বিঘিœত হয়েছে।
[৪] ভারত ও ভিয়েতনামের পরই এশিয়ার সর্বোচ্চ চাল রপ্তানিকারক দেশ থাইল্যান্ড। ভারত ও ভিয়েতনামে করোনার প্রভাবে সরবরাহ বিঘিœত হওয়ায় থাইল্যান্ডের চালের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় বিশ্বের আমদানিকারক দেশগুলো। বিশ্বের মোট চাহিদার ৯০ শতাংশ চাল উৎপাদিত হয় এশিয়ায়।
[৫] আন্তর্জাতিক পোটাটো সেন্টারের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক শমরেন্দু মোহান্তি বলেন, চলতি বছরে চালের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে করোনার অজুহাতে অত্যধিক পরিমাণ চাল মজুদ করছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া চারা রোপণের এ সময়টা কজে লাগাতে না পারলে, এ বছর ফসল হবে না ভারতে।
[৬] থাইল্যান্ডের রপ্তানিকারক সংস্থা দ্য থাই রাইস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এক প্রতিবেদনে জানায়, করোনায় ডাকা লকডাউনে শ্রমিকদের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। ফলে দেখা দিচ্ছে শ্রম স্বল্পতা। ফলে চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল