আনন্দবাজার : [২] সিনেমা হলে তালা। স্টুডিওপাড়ায় বহুদিন শোনা যায়নি, ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন’। থমকে গেছে টলিউড। একগুচ্ছ ছবি মুক্তির কথা ছিল মে মাসের শুরুতে। রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’, সৌকর্য ঘোষালের ‘রক্তরহস্য’, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের ‘হবু চন্দ্র রাজা গবু চন্দ্র মন্ত্রী’ পিছিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। কবে মুক্তি পাবে কেউ জানে না। [৩] পরিচালক ও প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, সবচেয়ে ভয় সিঙ্গল স্ক্রিনের মালিকদের নিয়ে, যাঁদের কোনও গিল্ড নেই। সিনেমা হলে আলো দেখাত যে ছেলেটি, তার কীভাবে চলছে, আমরা কেউ খোঁজ নিয়েছি কি? সিঙ্গল স্ক্রিনগুলো তো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। [৪] প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রায় এক মাস কাজ বন্ধ। মার্চ অবধি যারা কাজ করেছেন সবাই পারিশ্রমিক পেয়েছেন বা এবার পাবেন। কম পারিশ্রমিক পান এমন টেকনিশিয়ানরাও টাকা পেয়েছেন। জুনিয়র টেকনিশিয়ানদের টাকাটা চ্যানেল দেবে। সিনিয়র টেকনিশিয়ানদের রোজগার অনিশ্চিত। [৫] বিভিন্ন প্রযোজক সংস্থা থেকে ফেডারেশন তহবিলে সুরিন্দর ফিল্মস দিয়েছে ৫ লক্ষ টাকা, এসভিএফ ফিল্মস এবং ম্যাজিক মোমেন্টসও সেই তহবিলে ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। প্রযোজনা সংস্থা অ্যাক্রোপলিসও দিয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে কম পারিশ্রমিক বা দিন এনে দিন খায় এমন টেকনিশিয়ানদের অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। গ্রন্থনা : ফাতেমা আহমেদ। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও