[১]রাজধানীর কাঁচাবাজারে শারীরিক দুরত্ব ও একমুখি ব্যবস্থা মানছেনা কেউ
ইসমাঈল ইমু : [২] করোনাভাইরাসের বি¯Íার রোধে রাচধানীতে জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও একমুখি বাজার ব্যবস্থা চালু হলেও কেউ মানছেনা তা। যে যেমন করে পারছেন গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বাজার করছেন। সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর, জিগাতলা, রায়েরবাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে। [৩] মিরপুর পীরেরবাগে বউ বাজারে ক্রেতা সাইদ হোসেন বলেন, বাজারে যারা আসছেন তাদের অনেকের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার কোনো আগ্রহ দেখছি না। আমি নিজে দূরত্ব বজায় রেখে চললেও অন্য একজন এটা না মানায় খুব ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এখানে এসে দেখি কে আগে কিনবে সেই জন্য সবাই ব্য¯Í। এভাবে আসলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। [৪] জিগাতলা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী হুমায়ুন শিকদার বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পÿ তেকে একমুখি রা¯Íা ও নির্দিষ্ট দুরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আমরা দোকানের সামনে গোলাকার চিহ্ন দিয়েছি। এরপরেও গা ঘেষেই বাজার তকরছে মানুষ। আর একমখি পদ্ধতি অনেকেই না মেনে যে যার মত চলাফেরা করছে।
[৫] কারওয়ান বজারের কলার আড়ৎদার মামুন হাসান বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে কলা আসছে। সাধারনত সন্ধ্যা থেকে কলা আসা শুরু হয়। রাতে সেগুলো নামিয়ে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পাইকাররা এসে কলা নিয়ে যান। এসব কাজে যারা নিয়োজিত তাদের শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। তারা করছেও। কিন্তু কিছু ক্রেতা রয়েছেন যারা ব্য¯Íতা দেখিয়ে শারীরিক দুরত্ব মানছেননা। পুলিশের পÿ তেকে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে এ নিয়ম মানতে।
[৬] মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, ভোর থেকে পাইকারি বাজারে বিক্রি শরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে খুচরা বিক্রেতারা। সামকি দুরত্বে বিষয়ে তাদের বলা হলেও তড়িঘড়ি করে বাজার করায় তারা এসব নিয়ম মানেন না। তবে তাদের নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখতে বাজার কমিটির পÿ থেকে বলা হচ্ছে।
[৭] এদিকে গত ১৮ এপ্রিল আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এ সময় খোলা স্থানে অথবা ফুটপাতে বাজার বসাতে হবে। বাজারে একমুখী চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে কমপক্ষে ২০ ফুট দূরত্ব বজায় থাকে। চায়ের দোকানে আড্ডা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।