সিরাজুল ইসলাম : [২] করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মানুষজন ঘরবন্দী হওয়ায় পরিবেশ দূষণ তো কমেছেই, নিশ্চিন্ত মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্য পশুপাখিরাও। কক্সবাজার উপক‚লে ডলফিন, লন্ডনের গলিতে হরিণ, দক্ষিণ আফ্রিকার রা¯Íায় সিংহ, ইসরায়েলের লোকালয়ে বন্যশূকর ঘুরে বেড়ানোর মতো দৃশ্য দেখা গিয়েছে। [৩] করোনার কারণে দেশটির পর্যটননির্ভর অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা খেলেও যেন শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। বন্যপ্রাণীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছে সবখানে। [৪] স¤প্রতি ফুকেট মেরিন বায়োলজিক্যাল সেন্টারের পরিচালক কংকিয়াত কিত্তিওয়াতানাওং জানান, গত নভেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত থাই সৈকতে লেদারব্যাক কচ্ছপের অন্তত ১১টি বাসা খুঁজে পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ২০ বছরের মধ্যে কখনোই এত সংখ্যক বাসা দেখা যায়নি এ অঞ্চলে। [৫] কংকিয়াত বলেন, এটা খুবই ভালো লক্ষণ। কারণ অনেক এলাকাতেই তাদের ডিম দেয়ার জায়গাগুলো মানুষ নষ্ট করে ফেলেছে। যদি আগের সঙ্গে তুলনা করি, তবে একসঙ্গে এত ডিম কখনোই দেখা যায়নি। কারণ কচ্ছপদের মাছ ধরার সরঞ্জামে প্রাণ হারানো ও সৈকতে মানুষের মাধ্যমে বিরক্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। [৬] লেদারব্যাক হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক কচ্ছপ। তারা সাধারণত নিরিবিলি ও অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় ডিম পাড়ে। সৈকতে মানুষের আনাগোনা ভয় পায় এ কচ্ছপগুলো। অনেকে তাদের বাসা ভেঙে দেয় বা ডিমও চুরি করে। সম্পাদনা : শোভন দত্ত