সিরাজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্থবির অর্থনীতি। এর মধ্যেও ২০২৫ সাল নাগাদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সম পরিমাণ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা সরকারের। আর এ সময়ে দেশীয় উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপদের টিকিয়ে রাখতে নেয়া হবে বিশেষায়িত নানান উদ্যোগ।
[৩] সরকারের অবস্থান এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইলে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা নিয়মিতভাবে এ ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইসিটি উপদেষ্টা আর্কিটেকচার সজীব ওয়াজেদ জয় সার্বিকভাবে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন যেখানে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমরা সবাই একটি পরিবারের সদস্য। আমরা সবাই মিলে এই পরিস্থিতি সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে মোকাবেলা করবো। [৪] পলক বলেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেবা কোনগুলো আমরা সেগুলো চিহ্নিত করছি।
সেগুলোকে প্রাধান্য দিতে তাদের অর্থায়ন ও বিনিয়োগ করার কথা ভাবছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন সেখান থেকে সরল সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকগুলো কত বেশি দরকারি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারে সে বিষয়টি দেখা হবে।
[৫] প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রণোদনা থেকে সহায়তা পেতে আইসিটি খাতকে কীভাবে আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করা যায় তার জন্য ইতোমধ্যেই আমরা অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে আনতে পারবো বলে আশা রাখছি।
[৬] তিনি আরও বলেন, আইসিটি খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের খুব কাছে আমরা। ৩৩৩সহ আমাদের কল সেন্টারগুলো কিন্তু দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই পরিচালনা করছে। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে একটু বিলম্ব হতে পারে, কিন্তু অর্জিত হবেই। ২০২৫ সাল নাগাদ আমরা ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ আইসিটি পণ্য রপ্তানি করতে পারবো। একই সঙ্গে ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি করবো আমরা।
[৭] স্টার্টাপগুলোর আর্থিক সহায়তা নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্টার্টাপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে স্টার্টাপদের সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা ৫০ কোটি টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। বাংলানিউজ।সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও