অর্থনীতি ডেস্ক : [২] করোনার প্রভাবে কৃষি খাতে বিপর্যয় এড়াতে সরকার ঘোষিত সুযোগ সুবিধার খুব কমই বোরো চাষিরা পাবেন বলে মনে করেন কৃষকরা। বরং বোরো তুলতে না পারা ও উৎপাদন খরচ বাড়ায় বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কায় তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে প্রণোদনার সুবিধা পৌঁছাতে হলে কৃষি অফিসকে সম্পৃক্ত করতে হবে। [৩] মানিকগঞ্জ এলাকাগুলোতে ফসল কিছুটা সবুজ থাকলেও গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে নরসিংদীর ঘোড়াশাল পর্যন্ত যেতে চোখে পড়বে সবুজ থেকে সোনালী হতে শুরু করেছে সবুজের সামীয়ানা। চলতি সপ্তাহ থেকে বোরো ধান ঘরে তোলার উপযোগী হতে শুরু করলেও আনন্দের তুলনায় তা যেনো কৃষকের হাসি উজাড়ের কারণ।
[৪] কৃষকরা জানান, এবার ধান কাটার জন্যে শ্রমিক পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি তাতেও খরচ হচ্ছে প্রচুর। আবার নিজেদেরও অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বোরো ধান তুলতে এ মৌসুমে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যারা কাজ করেন, তারাও লকডাউন অবস্থায় কাজের এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না।
[৫] কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান জানান, প্রণোদনা অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে তারা যদি প্রসেস করে তবে এখনই পাবে। যা ব্যাংকিং সিস্টিমে বিতরণ করা হবে। [৬] এ বিষয়ে কৃষিবিদ ড. কাশফিয়া আহমেদ জানান, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কোনো সঠিক পন্থা নয় কৃষকদের কাছে টাকা পৌঁছানোর। যদি কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে টাকা পৌঁছানো যেতো তাহলে হয়তো প্রান্তিক কৃষকেরা টাকাটা পেতেন। [৭] কৃষকরা দাবি করছেন, তাদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার সুদ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনলে এবং যারা পরের জমি বর্গা চাষ করেন তাদেরও এই আওতায় আনা হলে আরো বেশি উপকৃত হবেন তারা। সূত্র : সময়টিভি অনলাইন। গ্রন্থনা : কামরুল হাসান