রাইজিংবিডি : [২] হবিগঞ্জে বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে। শ্রমিক সংকটে আশার আলো ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার। এ যন্ত্রে উঁচু জমিতে ধান কাটা হচ্ছে। নিচু জমির ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা এখন বেশি দুশ্চিন্তায়। [৩] এদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে আপদ হয়ে দেখা দিয়েছে বৈশাখী ঝড়। ঝড়ের সাথে বজ্রপাতও হচ্ছে। অন্যদিকে বন্যার আশঙ্কায়ও শঙ্কিত কৃষক। তারা বন্যার দুর্ভোগের আগেই ফসল ঘরে তুলতে চান। [৪] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার এ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরোর আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। আর ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। [৫] জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার হাওরের নিচু এলাকায় প্রায় ৪৬ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা নিয়েই কৃষকরা দুশ্চিন্তায় আছেন। উঁচু জমিতে ধান কাটার মেশিনে কাজ চললেও নিচু জমিতে শ্রমিকদের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। করোনার কারণে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিক পেলেও ৮০০ থেকে ১ হাজার দৈনিক মজুরি দিতে হয়। এভাবে শ্রমিক দিয়ে ধান কর্তনে কৃষকরা লাভের চেয়ে লোকসানে পড়তে হচ্ছে। তাই অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে জমির ধান নিজেরা মিলেই কাটার চেষ্টা করছেন। অনেক সময় বেশি মজুরিতেই কিছু শ্রমিক যুক্ত করছেন। কারণ, কালবৈশাখী যেকোন সময় ল-ভ- করে দিতে পারে তাদের সোনালী স্বপ্ন। তারা মনে করছেন, আর ২০টি দিন সুযোগ পেলেই তারা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। [৬] আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মেঘালয় এবং ভারত অববাহিকায় ১৫০-২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কামরুল হাসান
যে কারণে তলিয়ে যেতে পারে হাওরের বোরো ফসল। সাদেক আলী