[১]ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি আগের জায়গায় চাইলেই সহজে ফিরতে পারবে না : গবেষণা
প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] সম্প্রতি অলাভজনক সংস্থা ফ্যাশন রেভ্যুলেশনের বাৎসরিক স্বচ্ছতা সূচকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
[৩] পলসি ডিরেক্টর সারাহ দিত্তি জানান, করোনা সঙ্কট কাটলে নামিদামী ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো তাদের সাপ্লাই চেইন কিভাবে খুলবে তার আভাসও এ গবেষণায় আছে। [৪] মহামারীটি আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখালো যে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্বচ্ছতা থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্বের সকল ব্র্যান্ড তাদের অর্ডার একের পর এক বাতিল করছে। সাপ্লায়ারদের টাকা দিতে করছে।
[৫] ফলস্বরূপ গত কয়েক সপ্তাহে আমরা কয়েক কোটি শ্রমককে বেকার হতে দেখেছি। যাদের চাকরি গেছে তাদের পাওনা মজুরিও দেয়া হয়নি।
[৬] বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কম্বোডিয়ার মতো দেশে সাপ্লাই চেইনে কাজ করা শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা নেই।
[৭] এমন অবস্থা রয়েছে ইতালির মতো উন্নত দেশেও। শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার কাজের কোনও চুক্তিপত্র না থাকায় তারা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়।
[৮] গবেষণাটি চলাকালীন ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো তাদের ক্রয় নীতি সম্পর্কিত তথ্য খুব অল্প প্রকাশ করে। তারা যদি তখনই সঠিক তথ্য দিতো তাহলে আমরা জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে পারতাম।
[৯] ফলে বৈশ্বিক এ সংকটে প্রকৃতপক্ষে প্রকাশ পেলো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনার এক বিরাট ফাঁকি আমাদের সামনে উঠে এলো। তবে আমরা আশাবাদী, সবকিছু শুধরে নিয়ে আবার এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে আর সংশ্লিষ্ট সকলে কাজ ফিরে পাবে। সূত্র : ড্র্যাপার্স