[১]১৭শ কোটি ডলার বিক্রি হ্রাসের আশঙ্কা জাপানি কোম্পানিগুলোর
[২]বিশ্ব মহামারির প্রেক্ষিতে জাপানের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রান্তিক শেষের আয় ঘোষণা স্থগিত রাখার প্রবণতা বেড়েছে। গত ১৪ এপ্রিল জাপানি সরকার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির পর রাজধানী টোকিও’র সড়কে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে।
[৩]জাপানে দেশটির পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত স্থানীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৭শ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য ও সেবা বিক্রয় কমার আশঙ্কা করছে। চলমান বিশ্ব মহামারির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সরবরাহ চক্র ভেঙ্গে পড়া এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে তারা এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে। আজ শুক্রবার দেশটির একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
[৪]জাপানি পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিন হাজার ৭৭৮টি। টোকিও শোকো রিসার্চকে এসব প্রতিষ্ঠানের ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ গতকাল বৃহস্পতিবার নাগাদ তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতির পরিমাণ জানায়। এর ওপর ভিত্তি করেই প্রাথমিক ক্ষতির অংক প্রকাশ করে গবেষণা সংস্থাটি। টোকিও শোকো রিসার্চ জানায়, যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্য সরবরাহ করেছে তাদের মধ্যে বৃহৎ ২৪০টি ফার্ম- চলতি প্রান্তিকে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি ইয়েন বা এক হাজার ৫৭১ কোটি ডলার বিক্রি কম হওয়ার কথা অনুমান করছে। এই প্রেক্ষিতে মুনাফাও এক লাখ ৪৮ হাজার কোটি ইয়েন কম হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
[৫]এছাড়াও, জরিপে অংশ নেওয়াদের ৪০ শতাংশ- সরবরাহ চক্রের বিঘœ ঘটায় পণ্য ও সেবা বিক্রয় কার্যক্রমে ধ্বস নামার কথা জানায়। এদের মাঝে খুচরা পণ্য বিক্রি এবং পরিষেবা ব্যবসায়ের সংখ্যা ছিল ৩৫ শতাংশ। তারা ভোক্তাচাহিদার দুর্বল অবস্থানকেই বাণিজ্যিক পরিধি কমে আসার জন্য দায়ি করেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তারে শুধু শুধু মানুষের জীবন নয় বরং (জাপানের) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
[৬]পরিবর্তিত অবস্থায় প্রথম প্রান্তিক শেষের আয় লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করছে দেশটির অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এই বিষয়ে তারা শোকো রিসার্চকে নিশ্চিত করে। এই ধরনের নেতিবাচক সংশোধন স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিবাজারে কোম্পানি শেয়ারের বাজার মূল্যায়ন হ্রাস করবে। এমন পরিস্থিতি কোম্পানি পরিচালনা এবং মূলধন ব্যবস্থাপনায় নতুন সংকট তৈরি করবে।
[৭]বিশ্ব মহামারির প্রেক্ষিতে জাপানের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রান্তিক শেষের আয় ঘোষণা স্থগিত রাখার প্রবণতাও বেড়েছে। আজ শুক্রবার নাগাদ এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৪টিতে উন্নীত হয়েছে। [৮]পরিবর্তিত অবস্থায় প্রথম প্রান্তিক শেষের আয় লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করছে দেশটির অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এই বিষয়ে তারা শোকো রিসার্চকে নিশ্চিত করে। এই ধরনের নেতিবাচক সংশোধন স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিবাজারে কোম্পানি শেয়ারের বাজার মূল্যায়ন হ্রাস করবে। এমন পরিস্থিতি কোম্পানি পরিচালনা এবং মূলধন ব্যবস্থাপনায় নতুন সংকট তৈরি করবে।
[৮]বিশ্ব মহামারির প্রেক্ষিতে জাপানের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রান্তিক শেষের আয় ঘোষণা স্থগিত রাখার প্রবণতাও বেড়েছে। আজ শুক্রবার নাগাদ এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৪টিতে উন্নীত হয়েছে।
যঃঃঢ়ং://ঃনংহবংি.হবঃ/নধহমষধ