স্পোর্টস ডেস্ক : [২] অনিশ্চিতময় গৌরবের খেলা ক্রিকেটকে অনেকবার রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপহার দিয়েছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ক্রিকেটকে লজ্জায় ফেলেছে বেশ কয়েকবার। স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ ফিক্সিং, বল টেম্পারিং ইত্যাদি কারণে খবরের শিরোনাম হন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তেমনই এক শিরোনামের অংশ ছিলেন সেলিম মালিক।
[৩] ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে ২০০০ সালে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। ২০ বছর পর সেই পাপের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন সাবেক এই ব্যাটসম্যান। ৫৭ বছর বয়সী সেলিম একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ১৯ বছরের আগে যা করেছিলাম, তার জন্য অনুতপ্ত। আইসিসি ও পিসিবিকে শর্তহীনভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমি।
[৪] ২০০৮ সালে পাকিস্তানের একটি আদালত সেলিম মালিকের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। তবে পিসিবি কিংবা আইসিসি কেউই কোর্টের সিদ্ধান্তকে অফিসিয়ালি স্বীকৃতি বা সমর্থন জানায়নি। এ কারণেই আইসিসি ও পিসিবি মালিককে কোনো ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নিতে দিচ্ছে না।
[৫] ক্যারিয়ার বিবেচনায় কোচ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন সেলিম। ১৯৮২-১৯৯৯ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ১০৩ টেস্ট ও ২৮৩ ওয়ানডে খেলছেন এই ব্যাটসম্যান। টেস্টে ৫৭৬৮ ও ওয়ানডেতে ৭১৭০ রান করেছেন। দেশের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলেরও অন্যতম সদস্য তিনি। লিজেন্ডদের কাতারেই উচ্চারিত হতো সেলিম মালিকের নাম, যদি না ওই কুকীর্তিতে জড়াতেন।