[১]করোনার প্রভাবে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর কৃষকরা
বাংলানিউজ : [২] মাত্র ৫০ টাকা মণে মিলছে লম্বা বেগুন আর ২০০ টাকায় এক মণ টমেটো। বৃষ্টির কারণে পচন ধরায় ও ক্রেতা না থাকায় করলা, পটল, ঝিঙ্গে, শসা ও শাক-সবজির ক্ষেত গরু-ছাগল দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন জেলার চাষিরা। [৩] উত্তরের নীলফামারী জেলার শাক-সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হতো। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ছিল এসবের বাজার। কিন্ত লকডাউনে ও পরিবহন সঙ্কটে পাইকাররা পণ্য কিনে পাঠাতে পারছেন না। কৃষকরা উৎপাদিত সবজি পাইকারি বাজারে এনেও বিক্রি হচ্ছে না। কোথাও সবজি তোলার খরচও উঠছে না। ফলে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক-সবজি। [৪] জেলার সবচেয়ে বড় সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে অবস্থিত পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ২০০, করলা ১৪০, শসা ২০০, কাঁচামরিচ ৮০০ এবং সব ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ৩ টাকা কেজি খুচরা বাজারে ৫ থেকে ৭ টাকা কেজিতে।
[৫] নীলফামারী সংগলশী ইউনিয়নের সবজিচাষি বেলাল হোসেন জানান, এবারে অনুকূল পরিবেশ থাকায় শাক-সবজির খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে কৃষকের সর্বনাশ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া না হলে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানান তারা। [৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, নীলফামারীর অর্থকরী সবজি হচ্ছে বেগুন, করোলা, টমেটো, চাল কুমড়া ও কাঁচা মরিচ। এবার জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪০২ হেক্টর জমি। সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮ হাজার ৩ শত ৮০ মেট্রিক টন। এবার ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু করোনা চাষিদের ভাগ্য উল্ট-পাল্ট করে দিল। লাভ তো দূরের কথা, জমিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বাজারে এনে দাম না পেয়ে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। গ্রন্থনা : সিরাজুল ইসলাম।