বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] সম্প্রতি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় বাৎসরিক হার্পার বক্তৃতার কথা বলেন, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান রঘুরাম রাজন। শ্রোতা প্রায় ৭৭০০, কিন্তু সব অনলাইনে। তাদের কাছ থেকে ১০০০-এর বেশি প্রশ্ন আসে।
[৩] তিনি বলেন, মানুষের মানুষকে কতটা প্রয়োজন, করোনা কঠিন হাতে পৃথিবীকে শিখিয়েছে। অর্থনৈতিক দুর্বলতার দোহাই দিয়ে সমাজ যে সব মানুষকে নিচের দিকে বহু বছর রেখে দিয়েছে, আজকের মহাসঙ্কটকালে তারাই সমাজের ত্রাতা হয়ে উঠেছে। এই স্তরভেদ প্রতিটি দেশের মধ্যেই যেমন আছে, তেমনই আছে এক দেশ থেকে অন্য দেশের মধ্যে। মানুষের এই ভেদাভেদের ভাইরাস অর্থনৈতিক অসাম্য, তা দূর করতে হবে।
[৪] করোনা আসার আগে বিশ্বব্যাপী দেশাত্মবোধের একটা জোয়ার এসেছিল। ‘আমেরিকানদের জন্যে আমেরিকা’, ‘হিন্দুত্বের ভারত’, এই রকম বিশ্বাস অনেক দেশে শেকড় গাড়ছিল। করোনা দেখাল, কেউ একা বাঁচতে পারবে না। বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যত দেশ যোগ দিয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি দেশকে করোনা এক নতুন যুদ্ধে এক করেছে। বলা হচ্ছে চীন থেকে এর শুরু। অর্থবল ও শক্তি দিয়ে কোনও দেশকে তাচ্ছিল্য করে দূরে রাখা যাবে না, মূলমন্ত্র হবে ‘বাঁচলে সবাই বাঁচব, নইলে সবাই মরব।’
[৫] করোনা প্রকৃতির এক ছোট হাতুড়ির আঘাত। মানবজাতি তাতেই হিমশিম খাচ্ছে। এখন থেকে সব দেশকে পরিবেশ নিয়ে ভাবতে হবে। প্রগতির নামে পরিবেশকে যেমন ইচ্ছে নিগ্রহ করা চলবে না। উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ধারা বদলাতে হবেই। সম্পাদনা : রেজাউল