বার্তা ২৪ : [২] রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান এক বার্তায় তার কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সংকটময় এ সময়ে আমাদের এবং কোম্পানির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে আপনাদের সবার এপ্রিল মাসের পূণাঙ্গ বেতন পৌঁছে দেবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি আপনাদের আরো আশ্বস্ত করছি যে এ সময়ে কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা আমাদের নেই।
[৩] হাফিজুর রহমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আপনারাই কোম্পানির চালিকাশক্তি। আজ আমরা যে ব্যাপক ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি, আপনাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা আমরা কাটিয়ে উঠব ইন শা আল্লাহ। এ অনিশ্চয়তার সময় কাটিয়ে আমরা শিগগিরই পূর্ণ উদ্যমে ব্যবসা পুনর্গঠনে ঝাঁপিয়ে পরতে পারব। [৪] করোনা রোধে এ সময় ঘরে থাকুন, সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন, নিজে ভালো থাকুন এবং পরিবারের সবাইকে ভালো রাখুন। রানার আপনার পাশে আছে ও থাকবে, যোগ করেন তিনি।
[৫] করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে ইউরোপ আমেরিকাসহ পুরো পৃথিবী এক গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। এরই মধ্যে আইএলওসহ আন্তর্জাতিক আরো কয়েকটি সংস্থা বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি মানুষের চাকুরি হারিয়ে বেকার হওয়ার কথা জানিয়েছে। [৬] বাংলাদেশেও পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের পরও গার্মেন্টসসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কর্মী ছাঁটাই করতে। ঠিক এমন সময় কর্মীদের জন্য অভিভাবকের ভূমিকায় দাঁড়াল দেশের অন্যতম বৃহত্তম গ্রুপ অব কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোটরসাইকেল উৎপাদক ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রানার গ্রুপ। গ্রন্থনা : সিরাজুল ইসলাম।