মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ : [২] আমরা জানি কোভিড-১৯ একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। মূলত অদ্যবধি ভাইরাসকে পুরোপুরি ধংস করবার জন্য কার্যকরী কোন ওষুধ আবিস্কার হয় নি। তাই ঝঅজঝ,গঊজঝ,অওউঝ সহ ভাইরাসঘটিত অন্যান্য অসুস্থতায় চিকিৎসা বিজ্ঞানকে অসহায় মনে হয়েছে।
[৩] নতুন কোন ওষুধ বাজারে আনতে গেলে আমেরিকার ঋড়ড়ফ ধহফ উৎঁম অমবহপু এর অনুমোদন প্রয়োজন। শুধু ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষাই নয়, প্রাণীর উপর ট্রায়াল, সল্প সংখ্যক সেচ্ছা প্রণোদিত রোগীর উপর পরীক্ষা, পোস্ট মার্কেটিং সার্ভিলেন্সের স্তর পেরিয়েই এই সংস্থা নতুন ওষুধ অনুমোদন দেয়। ফলে নতুন ওষুধ বাজারে আসতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়।
[৪] অদ্যবদি কোভিড- ১৯ এ ব্যবহৃত হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন , এজিথ্রোমাইসিনসহ অন্যন্য ওষুধ ঋউঅ এর অনুমোদন ব্যতিরকে চিকিৎসকগণ নিজ ঝুঁকিতে রোগীকে প্রয়োগ করেছেন।
[৫] গত ১লা মে জবসফরংরারৎ’ ওষুধটিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহার করবার জন্য ঋউঅ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে এবোলা ভাইরাস সংক্রমণে এই ওষুধ ব্যবহার হত। তবে, এই ওষুধটি শুধুমাত্র গড়ংঃ ংবাবৎবষু রষষ’ বা খুবই খুবই অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় ‘ইমার্জেন্সি ইউজ অথারাইজেশনের মানদন্ডে সীমিত সংখ্যক রোগীকে ব্যবহার করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ধরণের রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম থাকে এবং ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়।
[৬] ওষুধটি শুধুমাত্র ইনজেকশন এবং ইনহেলার হিসেবে পাওয়া যায়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বমি বমি ভাব, কাঁপুনি, ঘাম হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
[৭] বেশীর ভাগ করোনা রোগী ওষুধ ব্যতীত বা সামাণ্য ওষুধেই ভাল হয়ে যায়। শুধু ভেন্টিলেটরে রাখা জটিল রোগীদের আরোগ্য সম্ভাবনার রোডম্যাপ জবসফরংরারৎ অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেল। আশা করা যায় এইভাবে একদিন বিজ্ঞানের কাছে কোভিড-১৯ পদানত হবে। কবে? কোন এক শুভ সকালে। হয়ত আগামীকালের পূবের সূর্য সেই সুখবরটি আমাদের দেবে।
পরিচিতি : ক্লাসিফাইড স্পেশালিষ্ট ফার্মাকোলজি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ।