রয়টার্স : [২] পাকিস্তান ও ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য শত শত বিদেশী কোম্পানি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করছে। এই খাতের বৈশ্বিক আইন-কানুনে দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
[৩] মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্স ডিফেন্স স্টাডিজ (সি৪এডিএস)-এর এক রিপোর্টে, বিশ্বের সবচেয়ে বিজপজ্জনক পারমাণবিক ফ্লাশপয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের পারমাণবিক উপকরণ সংগ্রহ নেটাওয়ার্কের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। সি৪এডিএস-এর বিশ্লেষক ও রিপোর্টের সহ-লেখক জ্যাক মারগলিন বলেন, বৈশ্বিক আইনের ফাঁকফোকরের সুযোগ নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। [৪] তিনি বলেন, সহজলভ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিগত লেনদেনকারীরা অবৈধ কাজ করছে কিনা তা বুঝা কঠিন। পাকিস্তান ও ভারতকে পারমাণবিক উপকরণ সরবরাহ করা কোম্পানিগুলো দেশীয় বা বিদেশের আইন বা বিধান লঙ্ঘন করছে কিনা সে বিষয়েও রিপোর্টে কিছু বলা হয়নি।
[৫] তবে এর আগে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে প্রায়ই বলা হয়েছে যে এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নিয়েছে। গবেষণা সংস্থাটির আর্থিক সহায়তা আসে কার্নেনিগ কর্পোরেশন ও ওয়েস ফাউন্ডেশন থেকে।
[৬] এই রিপোর্টের ব্যাপারে পাকিস্তান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানে পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় খেলোয়াড় সেনাবাহিনীও কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করে।