সময় টিভি : [২] লকডাউনের কারণে কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দূষণ কমেছে। সে কারণে এবার ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান হালদা নদীর গবেষকরা। দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস ও কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র এ নদী। প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ডিম ছাড়ে মা মাছ। মুষলধারে বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত এবং অমাবস্যা বা পূর্ণিমা ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়।
[৩] হালদা দূষণের প্রধান উৎস হাটহাজারী একশো মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট ও এশিয়ান পেপার মিল দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে বন্ধ। সেই সাথে করোনা মহামারির এ সময়ে নদী সংলগ্ন সব ধরনের কল-কারখানা বন্ধ থাকায় দূষণ কমে যাওয়া ও ড্রেজার বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ। এ কারণে এবার মা মাছ প্রচুর ডিম ছাড়বে বলে আশাবাদী হালদা নদী গবেষকরা। হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূল থাকে তাহলে ডিম ছাড়বে মা মাছ। [৪] পরিকল্পিত উপায়ে ডিম থেকে পোনা উৎপাদনে তৈরি করা হয়েছে ৬০টি কুম ও তিনটি হ্যাচারি। আর সঠিক উপায়ে ডিম সংগ্রহের জন্য এবারই প্রথমবারের মত তিনশ ডিম সংগ্রহকারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, যারা ডিম কিনবে তাদের একটি করে কার্ড দেয়া হবে। আর যারা ডিম সংগ্রহকারী আছেন তাদেরকেও সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। আইরিন ফাতেমা।