বার্তা ২৪ : [২] নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কর্মসূচিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। প্রকল্পটির শ্রমিকদের ভাতা না দিয়ে উল্টো তাদের ছাঁটাই করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। এ ছাড়া শ্রমিকদের ন্যায্যতা না দেয়া, শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কাজ করানোসহ এলাকাবাসীর আরও নানা অভিযোগ রয়েছে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
[৩] শ্রমিকরা ওই চেয়ারম্যানের কথা মতো না চলায় বিভিন্ন অজুহাতে সম্প্রতি উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার মল্লিক কর্মসৃজন প্রকল্পের ৫৭ জন শ্রমিককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাঁটাই করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
[৪] এদের মধ্যে বঞ্চিত ১১ শ্রমিক সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
[৫] বলাইশিমুল গ্রামের ১৬৮ নং কার্ডধারী ফরিদ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা ৪০ দিন বেজগাঁও রাস্তায় কাজ করেছি। অন্য শ্রমিকরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে কিন্তু চেয়ারম্যান ভাতা না দিয়া উল্টা আমরার নাম কাইট্টা দিছে। আমরা ১১ জন ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করছি।
[৬] তিনি আরও বলেন, এর আগে আমরারে যখন ভাতা দেওয়া অইত তখন অফিস খরচের কথা বইল্লা আমরার কাছ থেকে জনপ্রতি কোনো সময় একহাজার, কোন সময় দেড় হাজার, কোন সময় ২ হাজার টাকাও রাখতেন চেয়ারম্যান সাব। এখন আমরা কাজ করছি। কিন্তু চেয়ারম্যান সাব আমরার শ্রমের মজুরি না দিয়া আমরারে ছাঁটাই কইরা দিছে। আমরা শ্রমের মজুরি চাই।
[৭] শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান মৃধা বলেন, শুনেছি যারা কাজ করে না এবং কেউ কেউ মারা গেছেন এদের মধ্য থেকে ৪০-৫০ জন শ্রমিক ছাঁটাই করে নতুন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
[৮] কাজ করেও টাকা পাননি উল্টো ছাঁটাই করা হয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ১১ জন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপসহকারী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৯] এ বিষয়ে বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার মল্লিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কারা অভিযোগ করেছেন তা আমি জানি না। তবে আগে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করত এখন অন্যত্র চলে গেছে এবং কেউ কেউ মারাও গেছে। সর্বমোট ৫৭ জন শ্রমিক বাদ দিয়ে আমরা নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে কাজ করেছি। কাজ করার পর টাকা না দিয়ে ছাঁটাই করেছি একথা সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। গ্রন্থনা : সিরাজুল ইসলাম।