প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই আকুতির বাস্তবায়ন করেছিলেন। দেশের জন্য নিজ হাতে ভাগ্যকে গড়েছেন। যুদ্ধ করেছেন। আত্মহুতির মাধ্যমে জীবনের পরিসমাপ্তি টেনেছেন।
[৩] আজ বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৮৮তম জীবন উৎসর্গ দিবস। এ দিনে তিনি পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের মাধ্যমে ব্রিটিশ রাজকে একটা প্রবল ঝাকুনি দিয়েছিলেন।
[৪] সেসময় গণ্যমান্য ইংরেজরা ইউরোপিয়ান ক্লাবে যেত। এটা ছিল তাদের আভিজাত্যের প্রতীক। সাদা চামড়ার ইংরেজরা এ উপমহাদেশের বাদামী চামড়ার মানুষদের হেয় করতো। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাইরে তাই লেখা থাকতো- ‘ডগস এন্ড ইন্ডিয়ানস আর নট এলাউড’।
[৫] বিপ্লবী নেতা মাস্টারদা সূর্য্য সেনের সিদ্ধান্তে প্রথমে এ ক্লাব আক্রমণের কথা কল্পনা দত্তের থাকলেও পরে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সফল হন ব্রিটিশদের ধরাশায়ী করতে।
[৬] চট্টগ্রামের পটিয়ার এ সন্তান ডা. খাস্তগীর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকার ইডেন কলেজে (তখন ইডেনে উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যয়ন হতো)। এখানে পড়ার সময়ই তার সঙ্গে ঢাকার বিপ্লবী লীলা নাগের (বিয়ের পর লীলা রায়) পরিচয় হলে তিনি পরোক্ষভাবে বিপ্লবে জড়ান।
[৭] এরপর ১৯৩১ সালে কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বি এ পাশ করে চট্টগ্রামের অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়ে গোপনে মাস্টারদার সঙ্গে বিপ্লবী কাজ চালাতে থাকেন। সম্পাদনার : ভিকটর রোজারিও